Thank you for trying Sticky AMP!!

৯৯৯–এ ফোন আসায় শেষ মুহূর্তে বন্ধ হলো বাল্যবিবাহ

প্রতীকী ছবি

শামিয়ানা টাঙিয়ে অতিথিদের বসার জন্য প্রস্তুত করা হয়েছিল বাড়ির উঠান। আমন্ত্রিত অতিথিদের আপ্যায়নের জন্য রান্না হয়েছিল মাংস, পোলাও। টেবিলে সাজানো ছিল থালা-গ্লাস। অতিথিরাও আসতে শুরু করেছিলেন বিয়েবাড়িতে।

এমন মুহূর্তে জাতীয় জরুরি সেবা নম্বর ৯৯৯–এ ফোন দিয়ে এক ব্যক্তি কিশোরীর বিবাহের খবর দেন। সোমবার বেলা পৌনে একটার দিকে বরযাত্রী আসার আগেই বিয়েবাড়িতে উপস্থিত হয়ে আয়োজন বন্ধ করে দেন সিলেটের জকিগঞ্জ উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট পল্লব হোম দাসসহ পুলিশ সদস্যরা। বিয়ে ঠিক হওয়া ওই কিশোরী জকিগঞ্জের কাজলশার ইউনিয়নের একটি বিদ্যালয়ের দশম শ্রেণির ছাত্রী।

এ সময় স্থানীয় মুরব্বিদের উপস্থিতিতে পরিবারের কাছ থেকে কিশোরীর বয়স ১৮ বছর পূর্ণ না হওয়া পর্যন্ত তাকে বিয়ে না দেওয়ার অঙ্গীকারও নেন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট।

নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট পল্লব হোম দাস প্রথম আলোকে জানান, কিশোরীর বাবা প্রবাসে থাকেন। বাড়িতে মা কিশোরীর অভিভাবক। স্থানীয় এক কাজী কিশোরীর মাকে বিয়েতে কোনো সমস্যা হবে না জানিয়ে বিয়ের আয়োজন করাচ্ছিলেন। সোমবার দুপুরেই দশম শ্রেণির শিক্ষার্থীর বিয়ে দেওয়া হচ্ছে বলে জাতীয় জরুরি সেবা নম্বর ৯৯৯–এ ফোন দিয়ে এ তথ্য জানান এক ব্যক্তি। খবর পেয়ে জকিগঞ্জ থানার একদল পুলিশ নিয়ে ঘটনাস্থলে যান তিনি। তবে তাঁরা আসার আগেই কাজী পালিয়ে যান। অন্যদিকে বরপক্ষও পরে আর বিয়ের আসরে আসেনি।

সহকারী কমিশনার পল্লব হোম দাস জানান, পরে স্থানীয় মুরব্বি, কিশোরীর মা ও পরিবারের অন্যান্য সদস্যকে বাল্যবিবাহের কুফল সম্পর্কে অবহিত করা হয়। পাশাপাশি কিশোরীর মায়ের কাছ থেকে ১৮ বছরের পূর্ণ হওয়ার আগে মেয়ের বিয়ে না দেওয়ার লিখিত অঙ্গীকার নেওয়া হয়। মুঠোফোনে বরপক্ষের অভিভাবকদের সঙ্গে কথা বললে তাঁরা জানান, এ সিদ্ধান্তে রাজি আছেন। তাঁরা জানতেন না মেয়ের বয়স কম এবং বাল্যবিবাহ দেওয়া হচ্ছে। আবার মেয়ের পরিবার জানত না ১৮ বছরের নিচে মেয়ের বিয়ে দেওয়া আইনত অপরাধ।