Thank you for trying Sticky AMP!!

৯৯৯–এ ফোন করায় বেঁচে গেল গন্ধগোকুল

কুড়িগ্রামের সদর উপজেলার ধুলাউড়া গ্রামে উদ্ধার হওয়া গন্ধগোকুল

জাতীয় জরুরি সেবা ৯৯৯ নম্বরে ফোন করায় বেঁচে গেল বিপন্ন প্রজাতির প্রাণী গন্ধগোকুল। বৃহস্পতিবার কুড়িগ্রাম সদর উপজেলার বেলগাছা ইউনিয়নে ধুলাউড়া গ্রাম থেকে ওই প্রাণীকে উদ্ধার করে পুলিশ।

বৃহস্পতিবার দুপুরে পুলিশ সুপার সৈয়দা জান্নাত আরা গন্ধগোকুলটিকে বন বিভাগের কাছে হস্তান্তর করেন। এ সময় উপস্থিত ছিলেন ফরেস্ট গার্ড নুর ইসলাম, সদর উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা হাবিবুর রহমান, সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা খান মো. শাহরিয়ার প্রমুখ।

গন্ধগোকুলটিকে বাঁচানোর জন্য ৯৯৯ নম্বরে ফোন করেছিলেন কুড়িগ্রাম সরকারি কলেজের উপাধ্যক্ষ মীর্জা নাসির উদ্দিন। তিনি প্রাণীটিকে উদ্ধার করার বিষয়ে বলেন, ‘আমি মানুষের কাছ থেকে কুড়িগ্রাম সদর উপজেলার বেলগাছা ইউনিয়নে ধুলাউড়া গ্রামে গন্ধগোকুল ধরা পড়ার খবর পাই। খবর পেয়ে দুপুরে সেখানে গিয়ে দেখি, প্রাণীটিকে গাছের সঙ্গে রশি দিয়ে বেঁধে রাখা হয়েছে। আমি ওই গ্রামের লোকজনকে গন্ধগোকুলটিকে ছেড়ে দেওয়ার অনুরোধ জানাই।’

উপাধ্যক্ষ নাসির উদ্দিন আরও বলেন, ‘গ্রামের লোকজনের ধারণা, গন্ধগোকুলের মাংস খেলে হাঁপানি রোগ ভালো হয়। তাই তারা প্রাণীটিকে জবাই করার সিদ্ধান্ত নেয়। অনেক বোঝালেও তারা বুঝতে চাইছিল না। পরে বাধ্য হয়ে জাতীয় জরুরি সেবা ৯৯৯ নম্বরে কল করি। এরপর সদর থানার পুলিশ এসে প্রাণীটিকে উদ্ধার করে থানায় নিয়ে যায়।’

ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে কুড়িগ্রাম সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা খান মো. শাহরিয়ার বলেন, খবর পেয়ে পুলিশ দ্রুত ঘটনাস্থলে গিয়ে প্রাণীটিকে উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসে। থানায় রাখার ব্যবস্থা না থাকায় পুলিশ সুপারের মাধ্যমে প্রাণীটিকে বন বিভাগের কাছে হস্তান্তর করা হয়। এ ব্যাপারে কুড়িগ্রাম সদর থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি করা হয়েছে।

পুলিশ সুপার সৈয়দা জান্নাত আরা বলেন, সদর উপজেলার বেলগাছা ইউনিয়নের ধুলাউড়া চার তেপতির মোড়ে স্থানীয় লোকজন গন্ধগোকুলটিকে আটক করেন। পরে ৯৯৯ নম্বরে কল পেয়ে পুলিশ পাঠিয়ে বিপন্ন প্রাণীটিকে উদ্ধার করা হয়। বৃহস্পতিবার দুপুরে প্রাণীটিকে বন বিভাগের কাছে হস্তান্তর করা হয়।