Thank you for trying Sticky AMP!!

'করোনায় আক্রান্ত' ব্যক্তির সংস্পর্শে, রংপুরে ৮ বাড়ি লকডাউন

করোনাভাইরাসে আক্রান্ত বলে প্রাথমিকভাবে নিশ্চিত হওয়া এক রোগীর সংস্পর্শে গিয়েছিলেন রংপুরের এক ব্যক্তি। তাঁর বাড়িসহ আশপাশের আটটি বাড়ি আজ শনিবার ‘লকডাউন’ করা হয়েছে।

জেলা করোনা কমিটির সদস্যসচিব সিভিল সার্জন হিরম্ব কুমার রায় জানান, সংস্পর্শে যাওয়া ওই ব্যক্তির বাড়ি রংপুর সদর উপজেলার সদ্যপুষ্করণী ইউনিয়নের জানকি ধাপেরহাট এলাকার মাদ্রাসাপাড়া গ্রামে। তাঁর বাড়িসহ আশপাশের আটটি বাড়ি লকডাউন করা হয়েছে। বাড়িগুলোতে জেলা প্রশাসনের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের উপস্থিতিতে লাল পতাকা উত্তোলন করা হয়েছে।

এলাকাবাসী সূত্রে জানা যায়, করোনাভাইরাসে আক্রান্ত ৫০ বছর বয়সী ওই ব্যক্তির বাড়ি রংপুরে। ঢাকায় কারওয়ান বাজারে নৈশপ্রহরীর কাজ করেন। গত রোববার তিনি ঢাকা থেকে ট্রাকে করে রংপুরে বাড়িতে আসছিলেন। পথে বগুড়ায় তিনি গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়েন। তখন ট্রাকের চালক তাঁকে রাস্তায় ফেলে রেখে যান। পরে পুলিশ ও স্থানীয় লোকজন উদ্ধার করে তাঁকে বেসরকারি একটি হাসপাতালে ভর্তি করে। গত বুধবার আইইডিসিআর থেকে তাঁর নমুনা সংগ্রহ করা হয়। এতে তাঁর শরীরে করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়েছে বলে বগুড়ার স্বাস্থ্য বিভাগের দায়িত্বশীল একাধিক ব্যক্তি জানিয়েছেন।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ওই ব্যক্তিরা বলছেন, ওই ব্যক্তির করোনাভাইরাস পজিটিভ ফল এলেও তাঁরা ঢাকায় রোগতত্ত্ব, রোগ নিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা প্রতিষ্ঠানে (আইইডিসিআর) আবার পরীক্ষা করাতে চান। তাই এখনই এ নিয়ে গণমাধ্যমের সঙ্গে কথা বলছেন না তাঁরা।

করোনায় আক্রান্ত বলে প্রাথমিকভাবে নিশ্চিত হওয়া ওই ব্যক্তিকে হাসপাতালে দেখতে গিয়েছিলেন তাঁর জামাতা। পরে জামাতা তাঁর শ্বশুরবাড়ি জানকিধাপের হাট এলাকায় যান।

সদ্যপুষ্করণী ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান সোহেল রানা বলেন, সকালে প্রশাসনের লোকজন এসে ওই ব্যক্তির বাড়িসহ আশপাশের আটটি বাড়িতে লাল পতাকা উত্তোলন করে দিয়েছেন। এসব বাড়ির লোকজনকে ঘর থেকে বের হতে নিষেধ করা হয়েছে। সেখানে গ্রামপুলিশ রাখার পাশাপাশি খাবার সহায়তা পৌঁছে দেওয়ার নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।