Thank you for trying Sticky AMP!!

'ডেঙ্গু প্রতিরোধের কথা করিব বর্ণন...'

কেশবপুর উপজেলার শ্রীরামপুর গ্রামের অধিবাসীদের ডেঙ্গু প্রতিরোধে জারিগান গেয়ে সচেতন করা হচ্ছে। ছবি: দিলীপ মোদক

‘শোনেন শোনেন শোনেন ভাই, শোনেন দিয়া মন, ডেঙ্গু প্রতিরোধের কথা করিব বর্ণন’—এমন গানে গানে চলছিল সচেতনতা সৃষ্টির চেষ্টা। গানে গানে গ্রামবাসীকে বলা হয়, এডিস মশার উৎপাদনস্থল কীভাবে নষ্ট করতে হবে, কীভাবে পরিবেশ পরিষ্কার–পরিচ্ছন্ন রাখতে হবে এবং ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত হলে কী করা দরকার।

জারিগানের মাধ্যমে ডেঙ্গু প্রতিরোধে সচেতনতা সৃষ্টি করতে এ ব্যতিক্রম আয়োজন করে যশোরের কেশবপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স। আজ শনিবার সকালে উপজেলার সবচেয়ে বেশি ডেঙ্গু রোগে আক্রান্ত ব্যক্তিদের গ্রাম শ্রীরামপুরে এই সচেতনতামূলক জারিগান ও আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়।

গ্রামের একটি উঠানে জারিগান আয়োজনের আগে বাদ্যযন্ত্র বাজিয়ে গ্রাম ঘুরে সচেতনতামূলক সভায় আসার আহ্বান জানানো হয়। পরে জারিগান পরিবেশন করে কেশবপুর পাইলট স্কুল অ্যান্ড কলেজের জারি দল। দলনেতা মুসলিমা খাতুনের নেতৃত্বে গান পরিবেশন করে পূজা কর্মকার, জয়া কর্মকার ও তাসফিয়া তাসনিন প্রিয়ন্তী। ইতিমধ্যে এই দলটি যশোর জেলায় শ্রেষ্ঠ জারিগানের দল হিসেবে স্বীকৃতি পেয়েছে। এ ছাড়া স্বাস্থ্য সহকারী অমিয় ভট্টাচার্য আরেকটি জারিগান পরিবেশন করেন।

শ্রীরামপুরের সানাপাড়ার গৃহবধূ সাজেদা খাতুন ও তাহমিনা বেগম বলেন, তাঁরা গানের মাধ্যমে ডেঙ্গু সম্পর্কে জানলেন। ডেঙ্গু এ গ্রামে ভীতিকর অবস্থা তৈরি করেছে বলে জানান তাঁরা।

সচেতনতামূলক আলোচনা সভায় সভাপতিত্ব করেন মজিদপুর ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান হুমায়ুন কবির। স্বাগত বক্তব্য দেন উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা হারুন অর রশিদ। প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মিজানূর রহমান। এ ছাড়া বক্তব্য দেন উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মহাদেব চন্দ্র সানা ও উপজেলা প্রেসক্লাবের সভাপতি এস আর সাঈদ।

সভা শেষে বাদ্যযন্ত্রসহকারে গ্রামের বাড়ি বাড়ি পরিচ্ছন্নতা অভিযান চালানো হয়, ডেঙ্গু রোগ সম্পর্কে মানুষকে সচেতন করা হয়।

উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা হারুনর রশিদ বলেন, শ্রীরামপুর গ্রামে সবচেয়ে বেশি ডেঙ্গু রোগী। এ গ্রামে ৩১ জন ডেঙ্গু রোগী আছে। এ পর্যন্ত উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ২১০ জন ডেঙ্গু রোগী চিকিৎসা নিয়েছে।