Thank you for trying Sticky AMP!!

সরকারি বরাদ্দের ২০ বস্তা সার জব্দ করেছেন ভ্রাম্যমাণ আদালত। রোববার রাতে যশোর সদর উপজেলার হামিদপুর গ্রামের বাজারে

যশোরে সরকারি বরাদ্দের ২০ বস্তা সার জব্দ, ব্যবসায়ীকে জরিমানা

যশোর সদর উপজেলার হামিদপুর গ্রামের বাজারের একটি দোকান থেকে সরকারি বরাদ্দের ২০ বস্তা মিউরেট অব পটাশ (এমওপি) সার জব্দ করেছেন ভ্রাম্যমাণ আদালত। এ সময় দোকানের মালিক সার ও কীটনাশক ব্যবসায়ী শাহাবুদ্দিন আহমেদকে সাত হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে। গতকাল রোববার রাত সাড়ে ১০টার দিকে এ ঘটনা ঘটে।

ভ্রাম্যমাণ আদালত-সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়, স্থানীয় একটি গুদাম থেকে গতকাল রাত সাড়ে আটটার দিকে ইঞ্জিনচালিত নছিমনে সাইফুল ইসলাম নামের এক ব্যক্তি ২০ বস্তা এমওপি সার নিয়ে হামিদপুর বাজারের নয়ন এন্টারপ্রাইজে যান। সার, সিমেন্ট ও কীটনাশক বিক্রেতা শাহাবুদ্দিন আহমেদের দোকানে সারের বস্তাগুলো পৌঁছালে সরকারি বরাদ্দের সার মনে করে স্থানীয় লোকজনের মধ্যে সন্দেহ হয়। পরে স্থানীয় লোকজন দোকানটি ঘেরাও করে বিক্ষোভ করেন। চানপাড়া পুলিশ ফাঁড়ি ও কোতোয়ালি থানার পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। খবর পেয়ে সেখানে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করে দোকানের মালিক শাহাবুদ্দিনকে সাত হাজার টাকা জরিমানা করেন যশোর সদর উপজেলার সহকারী কমিশনার (ভূমি) মাহমুদুল হাসান। পরে সেই টাকা তাৎক্ষণিকভাবে আদায় করা হয়।

নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মাহমুদুল হাসান বলেন, সার ক্রয়ের রসিদ দেখাতে না পারায় সার ও কীটনাশক ব্যবসায়ী শাহাবুদ্দিন আহমেদের কাছ থেকে সাত হাজার টাকা জরিমানা আদায় করা হয়েছে। একই সঙ্গে ওই সার জব্দ করে কৃষি কর্মকর্তার জিম্মায় দেওয়া হয়েছে। তিনি আরও বলেন, যে গুদাম থেকে সারের বস্তাগুলো আনা হয়েছিল, সেই গুদামের মালিক ফতেপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান সোহরাবের ছেলে শেখ সোহেল। আজ সোমবার সকালে ওই গুদামে অভিযানে গেলে ৫০ বস্তা সার ক্রয়ের একটি রসিদ দেখানো হয়েছে, যা যাচাই–বাছাইয়ের জন্য কৃষি কর্মকর্তার কাছে দেওয়া হয়েছে। যাচাই-বাছাইয়ের প্রক্রিয়া শেষ না হওয়া পর্যন্ত গুদামের সার ক্রয়-বিক্রয় বন্ধ রাখার নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।