Thank you for trying Sticky AMP!!

সিলেটে এক ঘণ্টার ব্যবধানে পৃথক স্থানে দুই নারী খুন, আটক ১

এই ঘরেই মেঝেতেই ছালেখা বেগমের গলা কাটা লাশ পড়ে ছিল। আজ সকালে সিলেটের কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার পূর্ব ইসলামপুর ইউনিয়নের বালুচর গ্রামে

সিলেটের কোম্পানীগঞ্জ ও গোয়াইনঘাট উপজেলায় দুই নারী খুন হয়েছেন। আজ বৃহস্পতিবার সকালে এক ঘণ্টার ব্যবধানে এ দুটি হত্যাকাণ্ড ঘটেছে। একটি খুনের ঘটনায় তাৎক্ষণিকভাবে অভিযান চালিয়ে এক তরুণকে আটক করেছে পুলিশ।

নিহত দুই নারী হলেন কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার পূর্ব ইসলামপুর ইউনিয়নের বালুচর গ্রামে ছালেখা বেগম (৫০) এবং গোয়াইনঘাটের পশ্চিম জাফলং ইউনিয়নের উত্তর প্রতাপপুর গ্রামের আয়েশা সিদ্দিকা (৩০)। ছালেখা বেগমের গলা কাটা মরদেহ আজ সকাল সাড়ে আটটার দিকে নিজ ঘরের মেঝে থেকে উদ্ধার করা হয়। আয়েশা সিদ্দিকাকে বাড়ির পাশের সড়কে সকাল সোয়া ৯টার দিকে কুপিয়ে হত্যা করে এক তরুণ পালিয়ে যান। পরে তাৎক্ষণিক অভিযান চালিয়ে ছিদ্দিকুর রহমান (২২) নামের অভিযুক্ত ওই তরুণকে আটক করে পুলিশ।

স্থানীয় লোকজন ও পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, ছালেখা বেগম কোম্পানীগঞ্জের ইসলামপুর ইউনিয়নের বালুচর গ্রামে একটি বাড়িতে একাই থাকতেন। স্বামী আবদুর রউফের সঙ্গে বেশ কিছুদিন আগে তাঁর বিবাহবিচ্ছেদ হয়েছে। নিহত ছালেখার চার মেয়ে ও দুই ছেলে। তবে কেউই তাঁর সঙ্গে থাকতেন না। আজ সকালে প্রতিবেশীরা তাঁকে ডাকাডাকি করলে সাড়া পাচ্ছিলেন না। পরে ঘরের দরজা খোলা দেখে ভেতরে উঁকি দিলে ঘরের মেঝেতে ছালেখার গলাকাটা রক্তাক্ত মরদেহ পড়ে থাকতে দেখেন। পরে পুলিশকে খবর দিলে সকাল সাড়ে আটটার দিকে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে লাশটি উদ্ধার করে।

ঘটনাস্থলে থাকা কোম্পানীগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা হিল্লোল রায় বলেন, ঘটনাস্থলে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনসহ (পিবিআই) পুলিশের অন্যান্য বিভাগের কর্মকর্তারা বিভিন্ন আলামত সংগ্রহ করছেন। লাশটি ময়নাতদন্তের জন্য সিলেট এম এ জি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানোর প্রস্তুতি চলছে।

আয়েশা সিদ্দিকাে খুনের খবরে তাঁর বাড়িতে স্থানীয়রা ভিড় জমান। আজ সকালে সিলেটের গোয়াইনঘাট উপজেলার উত্তর প্রতাপপুর গ্রামে

এদিকে গোয়াইনঘাট থানা-পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, নিহত আয়েশা সিদ্দিকার নামে মানব পাচার আইনে একটি মামলা আছে। তবে ছিদ্দিকুরের সঙ্গে কী নিয়ে বিরোধের জেরে তিনি খুন হয়েছেন, সেটি প্রাথমিকভাবে জানা যায়নি। স্থানীয় লোকজনের বরাত দিয়ে পুলিশ জানায়, আজ সকাল সোয়া ৯টার দিকে আয়েশা বাড়ির পাশের রাস্তায় ছিলেন। এ সময় ছিদ্দিকুর সেখানে গেলে তাঁদের মধ্যে বাগ্‌বিতণ্ডা হয়। একপর্যায়ে ছিদ্দিকুর ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে পালিয়ে যান। এ সময় স্থানীয় লোকজন আয়েশাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন।

গোয়াইনঘাট থানার ওসি কে এম নজরুল ইসলাম বলেন, খুনের ঘটনায় তাৎক্ষণিকভাবে অভিযান চালিয়ে ছিদ্দিকুরকে আটক করা হয়েছে। এ ছাড়া খুনের সময় ব্যবহৃত একটি দা জব্দ করা হয়েছে। নিহত ব্যক্তির মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য সিলেট এম এ জি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হচ্ছে।

সিলেটের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (গণমাধ্যম) শেখ মো. সেলিম বলেন, দুটি খুনের ঘটনাই পুলিশ গুরুত্বের সঙ্গে দেখছে। গোয়াইনঘাটের ঘটনায় জড়িত একজনকে আটক করা হয়েছে। অন্যদিকে কোম্পানীগঞ্জের খুনের ঘটনায় তদন্ত চলছে। আশা করা যাচ্ছে, দ্রুত সময়ের মধ্যেই ঘটনার বিস্তারিত জানা যাবে এবং জড়িত ব্যক্তিদের আইনের আওতায় আনা যাবে।