Thank you for trying Sticky AMP!!

দুবলার চরের শুঁটকিপল্লি

দুবলার চর শুঁটকিপল্লির ছয় জেলেকে ধরে নিয়ে গেছে বিএসএফ

বঙ্গোপসাগরে মাছ ধরার সময় সুন্দরবনের দুবলার চর শুঁটকিপল্লির ছয় জেলেকে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী (বিএসএফ) ধরে নিয়ে গেছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। গত বুধবার বিকেল সুন্দরবনের পশ্চিম বন বিভাগের সাতক্ষীরা রেঞ্জের মান্দারবাড়িয়া–সংলগ্ন সাগরে মাছ ধরার সময় ট্রলারসহ বিএসএফের সদস্যরা তাঁদের ধরে নিয়ে যান বলে জানিয়েছেন স্থানীয় জেলে ও মহাজনেরা।

সুন্দরবনের দুবলা ফিশারম্যান গ্রুপের সভাপতি মো. কামাল উদ্দিন আহমেদ বলেন, শুঁটকিপল্লির অনেক জেলে সাগরের ওই অংশে বাংলাদেশ জলসীমায় মাছ ধরছিলেন। তারপরও বিএসএফ অন্যায়ভাবে ছয় জেলেকে ধরে নিয়ে গেছে। এ ঘটনায় জেলেদের মধ্যে আতঙ্ক দেখা দিয়েছে।

ওই ছয় জেলে হলেন—ট্রলার মাঝি ইলিয়াস হোসেন, জেলে মো. ইছা, আবুল হোসেন, মানিক মিয়া, রাসেল মিয়া ও রাজু মিয়া। তাঁদের সবার বাড়ি বাগেরহাটের রামপাল উপজেলার বিভিন্ন এলাকায়। তাঁরা রামপাল উপজেলার ইসলামাবাদ গ্রামের আবদুল হাই শেখের অধীন সুন্দরবনের দুবলার চরের আলোরকোলে শুঁটকিপল্লিতে চুক্তিতে মাছ ধরতেন।

Also Read: দুবলার চরে শুঁটকির মৌসুম শুরু, জেলেদের উচ্ছ্বাস 

ব্যবসায়ী আবদুল হাই শেখ বলেন, ‘জেলেরা মান্দারবাড়ির কাছে সাগরে মাছ ধরছিলেন। বিএসএফের একটি দল স্পিডবোটে এসে তাঁদের ট্রলারসহ ধরে নিয়ে যায়। বিষয়টি জানার পর আমাদের কোস্টগার্ড ও বন বিভাগকে জানিয়েছি।’

আটক জেলেদের উদ্ধারের বিষয়ে বিএসএফের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন কোস্টকার্ড পশ্চিম জোনের এক কর্মকর্তা।

শুকনা মৌসুমে প্রায় পাঁচ মাসের জন্য খুলনা, বাগেরহাট, সাতক্ষীরা, বরগুনাসহ উপকূলের বিভিন্ন জেলার কয়েক হাজার জেলে শুঁটকি তৈরির জন্য অস্থায়ীভাবে দুবলার কয়েকটি দ্বীপচরে অবস্থান করেন। সাগর থেকে ধরে আনা মাছ রোদে শুকিয়ে প্রাকৃতিকভাবে শুঁটকি তৈরি করেন এই জেলেরা।

সুন্দরবনের দুবলা টহল ফাঁড়ি ও শুঁটকিপল্লির দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ফরেস্টার মো. খলিলুর রহমান বলেন, জেলেদের ধরে নেওয়ার খবর পেয়েছেন। বন বিভাগের পক্ষ থেকে খোঁজখবর নেওয়া হচ্ছে।

Also Read: সাগরকোলের বিচ্ছিন্ন দ্বীপ দুবলার চর এখন কেমন? দেখে নিন ১০ ছবিতে