Thank you for trying Sticky AMP!!

সিলেটের জৈন্তাপুরের ডিবির হাওরে এসেছে নানা প্রজাতির অতিথি পাখি

লাল শাপলার বিলে অতিথি পাখিদের ওড়াউড়ি

হাওরের মধ্যে লালগালিচা বিছানো, প্রথম দেখায় এমন মনে হলেও পাশে গিয়ে বোঝা যায় হাওরের পানিতে ফুটেছে লাল শাপলা। এর মধ্য থেকে আসছে কিচিরমিচির আওয়াজ। ওই লালগালিচার মধ্যে ওড়াউড়ি করছে বেশ কয়েক জাতের পাখি। চারপাশ তাদের কলরবে মুখর। শীতে এত এত অতিথি পাখি দেখে মুগ্ধ পর্যটকেরা।

সিলেটের জৈন্তাপুর উপজেলার লাল শাপলা বিল হিসেবে খ্যাত ডিবির হাওরের চিত্র এটি। সম্প্রতি হাওরটি ঘুরে এমন চিত্রই দেখা গেছে। প্রতিদিন এমন সৌন্দর্য দেখতে ভিড় জমাচ্ছেন হাজারো মানুষ। নৌকা নিয়ে ডিবির হাওর ঘুরে লাল শাপলা ও অতিথি পাখি দেখছেন পর্যটকেরা।

সম্প্রতি ডিবির হাওর ঘুরে দেখা গেছে, লাল শাপলার বিলটিতে অসংখ্য অতিথি পাখি। পাখিগুলোর মধ্যে আছে বালিহাঁস, শামুকখোল, মেটে–মাথা তিতি, সাদা বক, কানি বক, মাছরাঙা, নীলকণ্ঠী, জলময়ূর ও সরালি হাঁস।

গত কয়েক বছরের তুলনায় এবার অতিথি পাখির উপস্থিতি বেশি

স্থানীয় লোকজন বলছেন, গত কয়েক বছরের তুলনায় এবার অতিথি পাখির উপস্থিতি বেশি। সম্প্রতি বিলের বাঁধ উঁচু করা, হাওরে পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি থাকা, সামাজিক বনায়নের গাছ লাগানো ও উপজেলার অন্যান্য বিলের পানি সেচ দিয়ে মাছ শিকারের ফলে অতিথি পাখিগুলো ডিবির হাওরে আশ্রয় নিচ্ছে।

ডিবির হাওরে বন্ধুর সঙ্গে বেড়াতে গিয়েছিলেন কিশোরগঞ্জের বাসিন্দা ফয়সল আহমেদ। তিনি বলেন, ডিবির হাওরে প্রথম এসে তিনি মুগ্ধ হয়েছেন। লাল শাপলার বিলে পাখিগুলো দেখে বেশি ভালো লেগেছে। পাখিগুলো যাতে কেউ শিকার না করেন কিংবা বিরক্ত না করেন, সেদিকে খেয়াল রাখা প্রয়োজন।

Also Read: ঘুরে আসতে পারেন জৈন্তাপুরের ডিবির হাওর

ডিবির হাওরের নৌকার মাঝি দুলাল হোসেন বলেন, লাল শাপলার বিল হিসেবে পরিচিতি পাওয়ার আগে কিছু লোক এখানে পাখি শিকার করতেন। তবে পরবর্তী সময়ে পরিবেশকর্মীরা স্থানীয় লোকজনের কাছে বিষয়টি বেআইনি বলে প্রচার চালানোয় মানুষ সচেতন হয়েছেন। এখন আর পাখিশিকারিদের তৎপরতা নেই। বিলটি নিরাপদ হওয়ায় এবার পাখি বেশি এসেছে বলে মত তাঁর।

জৈন্তাপুর ফটোগ্রাফি সোসাইটির সভাপতি মো. খায়রুল ইসলাম বলেন, জৈন্তাপুরের ডিবির হাওরের চারটি বিল ২০১৪ সালে পর্যটকদের কাছে লাল শাপলার বিল হিসেবে পরিচিতি পায়। বর্তমানে বিলে ছায়া সৃষ্টির জন্য কাজ চলছে। পাখিদের জন্য নিরাপদ আশ্রয়কেন্দ্র তৈরির চেষ্টা করা হচ্ছে। সামনের দিনগুলোয় অতিথি পাখির উপস্থিতি আরও বাড়বে বলে আশা প্রকাশ করেন তিনি।

বিলটি নিরাপদ হওয়ায় এবার অতিথি পাখি বেশি এসেছে বলে মনে করছেন স্থানীয়রা

জৈন্তাপুর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান কামাল আহমদ বলেন, জৈন্তাপুরের লাল শাপলা বিলের সৌন্দর্যবর্ধনের জন্য উপজেলা পরিষদ ও উপজেলা প্রশাসন কাজ করছে। পর্যটকদের জন্য ঘাট নির্মাণ করা হচ্ছে, নতুন আরও একটি পার্কিংয়ের স্থান নির্মাণ হবে, পর্যটকদের যাতায়াতের জন্য এক কিলোমিটার রাস্তা পাকা করার কাজ এ মাসেই শুরু হবে।

Also Read: ডিবির হাওর নয়, জৈন্তাপুরের আরেক শাপলাস্বর্গ