Thank you for trying Sticky AMP!!

উত্তরায় ঢাকার দুই প্রবেশমুখে পুলিশের তল্লাশি-জিজ্ঞাসাবাদ

উত্তরার সাইদ গ্র্যান্ড সেন্টারের সামনে পুলিশের তল্লাশি। শনিবার সকাল সাড়ে ৮টার দিকে

ঢাকায় বিএনপির মহাসমাবেশকে কেন্দ্র করে ঢাকার দুটি প্রবেশমুখ উত্তরার আবদুল্লাহপুর মোড় ও সাইদ গ্র্যান্ড সেন্টারের সামনে পুলিশের সংখ্যা ও তৎপরতা আরও বেড়েছে। গতকাল শুক্রবারের চেয়ে আজ শনিবার সকাল থেকে পুলিশের তৎপরতা আরও বেশি লক্ষ করা যাচ্ছে। যানবাহনে তল্লাশি ও পথচারীদের জিজ্ঞাসাবাদও করছে পুলিশ।

আজ সকালে আবদুল্লাহপুর মোড়ের ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কের পাশে পলওয়েল কারনেশন শপিং সেন্টার, সাইদ গ্র্যান্ড সেন্টার ও বিআরটি প্রকল্পের উড়ালসড়কের সামনে পুলিশ সদস্যদের অবস্থান নিতে দেখা গেছে। বিভিন্ন যানবাহনে তল্লাশির পাশাপাশি সন্দেহভাজন সাধারণ পথচারীদেরও জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে।

ঢাকা-ময়মনসিংহ ও ঢাকা-আশুলিয়া সড়ক এসে যুক্ত হয়েছে আবদুল্লাহপুর মোড়ে। এর মধ্যে ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক ধরে গাজীপুর, নরসিংদী, ব্রাহ্মণবাড়িয়া, বৃহত্তর ময়মনসিংহের বিভিন্ন জেলাসহ আশপাশের এলাকা থেকে ঢাকায় প্রবেশ করে মানুষ। ঢাকা-আশুলিয়া সড়ক হয়ে টাঙ্গাইল, মানিকগঞ্জ, সিরাজগঞ্জসহ রাজশাহী বিভাগের একাধিক জেলার লোকজন রাজধানীতে প্রবেশ করে। আর গাজীপুরের টঙ্গীর কলেজ গেট থেকে সাড়ে চার কিলোমিটারের একটি উড়ালসড়ক এসে নেমেছে সাইদ গ্র্যান্ড সেন্টারে সামনে। এ পথ দিয়েও চলাচল করে দূরপাল্লার বিভিন্ন যানবাহন। বিভিন্ন পয়েন্টে পুলিশের তৎপরতা দেখা যায়।

আজ সকাল সাড়ে আটটার দিকে সরেজমিন আবদুল্লাহপুর মোড় ও সাইদ গ্র্যান্ড সেন্টারের সামনের সড়কে শতাধিক পুলিশ সদস্যকে অবস্থান করতে দেখা গেছে। কোনো প্রাইভেট কার, মোটরসাইকেল আরোহী বা কোনো পথচারীকে সন্দেহ হলেই তাঁরা গতিরোধ করে তল্লাশি চালাচ্ছেন।

একটি সিএনজিচালিত অটোরিকশা থামিয়ে যাত্রীদের জিজ্ঞাসাবাদ করে পুলিশ। শনিবার সকাল সাড়ে ৮টার দিকে উত্তরার সাইদ গ্র্যান্ড সেন্টারের সামনে

গাজীপুরের ইটাহাটা থেকে উত্তরার ৯ নম্বর সেক্টরে যাচ্ছিলেন ইকরাম হোসেন (৪৫)। একটি বাস থেকে নেমে রিকশায় ওঠার জন্য সড়কের পাশ ধরে হাঁটছিলেন। এ সময় তাঁর সঙ্গে থাকা একটি বড় ব্যাগ দেখে তাঁর গতিরোধ করে পুলিশ। পরে পুরো ব্যাগ তল্লাশি করে তাঁকে ছাড়া হয়। ইকরাম হোসেন বলেন, ‘আমার ব্যাগে কিছু কাপড় ছাড়া আর কিছু নেই। তারা (পুলিশ) ব্যাগ দেখেই আমার পথ আটকে ধরে। আমি বলেছি, আমার ব্যাগে তেমন কিছু নেই। তা বিশ্বাস করেনি। পরে নিজেরাই পুরা ব্যাগ খুইল্যা দেখছে। কিন্তু কিছুই পায়নি।’

কোনো মোটরসাইকেল আরোহী এলে তাঁকে থামিয়ে পুলিশকে তল্লাশি করতে দেখা যাচ্ছে। কারও কথাবার্তায় সন্দেহ বা কোনো অসংগতি পেলে তাঁদের ফোন নম্বর লিখে রাখতে দেখা যায়।

ঢাকার বিমানবন্দর জোনের এডিসি মো. তৌহিদুল ইসলাম প্রথম আলোকে বলেন, ‘এটা আমাদের নিয়মিত কার্যক্রম। কেউ মাদক বহন বা আইনশৃঙ্খলায় বিঘ্ন ঘটাতে কোনো পাঁয়তারা করছে কি না, সেটা দেখার জন্যই আমরা সড়কে অবস্থান করছি। এখানে কাউকে কোনো ধরনের হয়রানি করা হচ্ছে না। তল্লাশি কার্যক্রম চলমান থাকবে।’