Thank you for trying Sticky AMP!!

সাঁকো দিয়ে ঝুঁকিতে পারাপার

সাঁকো দিয়ে ঝুঁকি নিয়ে চলাচল করছেন মানুষ। তবে ওই সাঁকো দিয়ে শিশু ও বৃদ্ধরা চলাচল করতে গিয়ে চরম ভোগান্তির শিকার হচ্ছেন। 

ঝুঁকিপূর্ণ বাঁশের সাঁকো দিয়ে চলাচল। গতকাল ময়মনসিংহের গৌরীপুরের নয়ানগর গ্রামে

ময়মনসিংহের গৌরীপুর উপজেলার মাওহা ইউনিয়নের নয়ানগর ও বাউশালিপাড়া গ্রামের মধ্য দিয়ে যাওয়া কাঁচা সড়কটির কিছু অংশ ৫ অক্টোবর ও ৬ অক্টোবরের টানা বৃষ্টিতে ভেঙে গেছে। ভাঙা অংশে দেওয়া হয়েছে বাঁশের সাঁকো। সাঁকো দিয়ে ঝুঁকি নিয়ে চলাচল করছেন মানুষ। 

তবে ওই সাঁকো দিয়ে শিশু ও বৃদ্ধরা চলাচল করতে গিয়ে চরম ভোগান্তির শিকার হচ্ছেন। গতকাল বৃহস্পতিবার নয়ানগর ও বাউশালি গ্রামের একাধিক বাসিন্দার সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, ঝুকিপূর্ণ এ সাঁকোটি দিয়ে প্রতিদিন অসংখ্যা মানুষ চলাচল করছেন। সাধারণ মানুষের পাশাপাশি নয়ানগর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিশুরাও এ সেতুটি পার হয়ে প্রতিদিন স্কুলে যাচ্ছে। এর মধ্যে ছোটখাটো দুর্ঘটনা ঘটে গেছে। 

৫ ও ৬ অক্টোবর ময়মনসিংহ জেলায় ৫২ বছরের মধ্যে সর্বোচ্চ বৃষ্টিপাতের রেকর্ড হয়। কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের ময়মনসিংহ জেলা কার্যালয় সূত্রে জানা যায়, ওই দিন ২৪ ঘণ্টায় ময়মনসিংহ জেলায় ৩০৩ মিলিমিটার বৃষ্টি রেকর্ড হয়। ২০ ঘণ্টার বেশি সময় ধরেই চলে ভারী  বর্ষণ ও ঝোড়ো হওয়া। ওই বৃষ্টিতে মাওহা ইউনিয়নের সুরিয়া নদী প্লাবিত হয়ে ডুবে যায় নয়ানগর ও বাউশালিপাড়া গ্রামের কাঁচা সড়কটি। পরে পানির স্রোতে সড়কটির নয়ানগর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের কাছে আনুমানিক ৫০ মিটার অংশ সড়ক নদীতে বিলীন হয়ে যায়। বাউশলিপাড়া ও নয়ানগর গ্রামের মানুষ নৌকা দিয়ে চলাচল করেছে। বন্ধ ছিল নয়ানগর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পাঠদান। 

গত শনিবার মওহা ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান ভাঙা অংশে একটি বাঁশের সাঁকো নির্মাণ করে দেন। সাঁকোটিতে পায়ে হাঁটার জন্য মাত্র দুটি বাঁশ ও এক পাশে হাতে ধরার জন্য একটি বাঁশ। সরু এই সাঁকো দিয়ে চলাচল করতে গিয়ে নয়ানগর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা একাধিকবার দুর্ঘটনার শিকার হয়েছেন। 

নয়ানগর গ্রামের বাসিন্দা বীর মুক্তিযোদ্ধা মোসলেম উদ্দিন বলেন, গত কয়েক দিনে সাঁকো পার হয়ে বিদ্যালয়ে যাওযার সময় একাধিক শিশু সুরিয়া নদীতে পড়ে যায়। পরে স্থানীয় লোকজন গিয়ে উদ্ধার করেন। সড়কটি ভেঙে যাওয়ায় কৃষিপণ্য পরিবহন বন্ধ রয়েছে।

 নয়ানগর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আবদুল কদ্দুস বলেন, কাঁচা সড়কটি পানিতে ভেঙে যাওয়ায় ১৪ অক্টোবর পর্যন্ত বিদ্যালয়ের পাঠদান বন্ধ ছিল। সাঁকো নির্মাণের পর থেকে শিক্ষার্থীরা বিদ্যালয়ে এলেও খুবই ঝুঁকি নিয়ে তাদের আসতে হয়। 

মাওহা ইউপি চেয়ারম্যান মোহাম্মদ আল ফারুক বলেন, ‘পানির স্রোত না কমলে সড়কটি সংস্কার করা সম্ভব নয়। আপাতত বাঁশের সাঁকো দিয়ে পারাপার করতে হচ্ছে। বিষয়টি আমরা স্থানীয় প্রশাসনকে জানিয়েছি।’

ইউএনও ফৌজিয়া নাজনীন বলেন, ‘ভেঙে যাওয়া সড়কটি আমরা পরিদর্শন করেছি। এ ব্যাপারে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে।’