Thank you for trying Sticky AMP!!

ঠাকুরগাঁওয়ে সাফজয়ী সোহাগী ও স্বপ্না পেলেন সংবর্ধনা

আজ দুপুরে সোহাগী ও স্বপ্না একটি খোলা জিপে চড়ে সংবর্ধনাস্থলে এসে পৌঁছান

সাফজয়ী বাংলাদেশ নারী ফুটবল দলের সদস্য ছিলেন ঠাকুরগাঁওয়ের সোহাগী কিসকু আর স্বপ্না রানী। ফাইনালে নেপালকে হারিয়ে দেশের জন্য বিরল সম্মান বয়ে আনায় আজ শনিবার তাঁদের সংবর্ধনা দেওয়া হয়েছে। ঠাকুরগাঁও জেলা প্রশাসন ও জেলা ক্রীড়া সংস্থা এ সংবর্ধনার  আয়োজন করে।

এর আগে গতকাল শুক্রবার রাতে তাঁরা ঠাকুরগাঁওয়ের রানীশংকৈল উপজেলার গ্রামের বাড়িতে এসে পৌঁছান। আজ দুপুরে সোহাগী ও স্বপ্না একটি খোলা জিপে চড়ে সংবর্ধনাস্থলে এসে পৌঁছান। এ সময় শত শত মানুষ ফুল ছিটিয়ে তাঁদের অভিনন্দন জানায়। পরে দুপুর সোয়া ১২টার দিকে তাঁরা সংবর্ধনাস্থল জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের সামনে আসেন। সেখানে স্থাপন করা মঞ্চে সোহাগী ও স্বপ্নাকে সংবর্ধনা দেওয়া হয়।

সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে দুই ফুটবলারকে অর্থ, ক্রেস্ট ও বিভিন্ন ধরনের ক্রীড়াসামগ্রী উপহার দেওয়া হয়। জেলা প্রশাসন দুই ফুটবলারকে ৫০ হাজার করে, জেলা ক্রীড়া সংস্থা ২৫ হাজার করে, জেলা ফুটবল অ্যাসোসিয়েশন ও পৌরসভার পক্ষ থেকে ১০ হাজার টাকা করে উপহার দেওয়া হয়েছে। এ ছাড়া বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান তাঁদের ফুল দিয়ে অভিনন্দন জানায়।

সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে জেলা প্রশাসক মো. মাহবুবুর রহমানের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি ছিলেন আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য ও ঠাকুরগাঁও-১ আসনের সংসদ সদস্য রমেশ চন্দ্র সেন। এ ছাড়া জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মু. সাদেক কুরাইশী, পুলিশ সুপার মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর হোসেন, পৌরসভার মেয়র আঞ্জুমান আরা বেগম, জেলা ক্রীড়া সংস্থার সাধারণ সম্পাদক মাসুদুর রহমান, জেলা ফুটবল অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি প্রবীর কুমার গুপ্ত, রাঙ্গাটুঙ্গী ইউনাইটেড ফুটবল একাডেমির পরিচালক তাজুল ইসলাম।

ঠাকুরগাঁও জেলা প্রশাসন ও জেলা ক্রীড়া সংস্থা এ সংবর্ধনার আয়োজন করে

সংবর্ধনা পেয়ে উচ্ছ্বসিত সোহাগী কিসকু বলেন, ‘এমন সম্মান পেয়ে আমি আনন্দিত। আমরা কঠোর পরিশ্রম করেছি। পাশাপাশি আমাদের মধ্যে একতা ছিল। আমরা আত্মবিশ্বাসী ছিলাম বলেই দক্ষিণ এশিয়ায় সেরা হয়েছি, এবার বিশ্বকাপ আসরে যেতে চাই।’

স্বপ্না রানী বলেন, ‘এই সংবর্ধনায় আমরা আরও অনুপ্রাণিত হয়েছি। এই অনুপ্রেরণা দেশকে আরও বড় কিছু এনে দিতে উৎসাহ জোগাবে।’

সংসদ সদস্য রমেশ চন্দ্র সেন বলেন, ‘নারী ফুটবল দল চমক দেখিয়েছে। এর মধ্যে দুজন ফুটবলার আমাদের জেলার মেয়ে। আমরা তাঁদের জন্য গর্বিত। আমরা মনে করছি, এ সংবর্ধনার আয়োজনের মধ্য দিয়ে তাঁরা আরও সামনে এগিয়ে যাবেন।’