Thank you for trying Sticky AMP!!

লক্ষ্মীপুরে বিএনপির কর্মসূচিতে আ.লীগের হামলার পর সংঘর্ষ, আহত ১৫

স্বেচ্ছাসেবক দলের এক নেতাকে মারধর করা হচ্ছে। শনিবার বিকেলে লক্ষ্মীপুরের রামগঞ্জ উপজেলায়

লক্ষ্মীপুরের রামগঞ্জ উপজেলায় বিএনপির অবস্থান কর্মসূচিতে আওয়ামী লীগ ও ছাত্রলীগের নেতা–কর্মীরা হামলা চালানোর পর দুই পক্ষের মধ্যে পাল্টাপাল্টি ধাওয়া ও সংঘর্ষ হয়েছে।

এতে উভয় পক্ষেরই অন্তত ১৫ কর্মী আহত হন ও ১০টি মোটরসাইকেল ভাঙচুর করা হয়। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে পাঁচ-ছয়টি ফাঁকা গুলি ছুড়েছে পুলিশ।

১০ দফা দাবিতে বিএনপির কেন্দ্রঘোষিত অবস্থান কর্মসূচি চলার সময় আজ বিকেলে রামগঞ্জ পৌরসভার নন্দপুর এলাকায় এরশাদ হোসেন সড়কে এ ঘটনা ঘটে।

উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আ ক ম রুহুল আমিন প্রথম আলোকে বলেন, ‘আজ ছাত্রলীগের ইফতারি বিতরণ কর্মসূচি ছিল। সেখানে যাওয়ার পথে বিএনপির নেতা–কর্মীরা আমাদের ওপর হামলা চালায়। হামলায় আমাদের অন্তত সাত-আটজন নেতা-কর্মী আহত হয়েছেন।’

তবে বিএনপির কেন্দ্রীয় প্রচার সম্পাদক ও লক্ষ্মীপুর জেলা বিএনপির আহ্বায়ক শহীদ উদ্দীন চৌধুরী (এ্যানি) বলেন, ‘বিএনপি কেন্দ্রঘোষিত কর্মসূচি চলার সময় ছাত্রলীগ ও আওয়ামী লীগের লোকজন হামলা চালায়। এ সময় বিএনপির নেতা-কর্মীদের পিটিয়ে আহত করা হয়। পরে পুলিশ গিয়ে আমাদের নেতা-কর্মীদের ওপর চড়াও হয়।’

রামগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা এমদাদুল হক প্রথম আলোকে বলেন, পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে পাঁচ-ছয়টি ফাঁকা গুলি করা হয়েছে। এখন পরিস্থিতি শান্ত রয়েছে।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন, কেন্দ্রঘোষিত অবস্থান কর্মসূচি বাস্তবায়নের লক্ষ্যে নন্দপুর এলাকায় জড়ো হন বিএনপির নেতা–কর্মীরা। এ সময় হঠাৎ আওয়ামী লীগের নেতা–কর্মীরা এসে ইটপাটকেল নিক্ষেপ করেন। একপর্যায়ে দুই পক্ষ সংঘর্ষ ও পাল্টাপাল্টি ধাওয়ায় জড়িয়ে পড়ে।

দফায় দফায় ধাওয়ায় বিএনপি ও এর সহযোগী সংগঠনের কর্মী আবদুর রহমান, কবির ভাট, আবদুর রহমান, শেখ কামরুল, নজরুল ইসলাম; ছাত্রলীগ কর্মী শেখ রাসেল, মো. ফরিদ, রিয়াদ হোসেনসহ উভয় পক্ষের ১৫ জন আহত হন। তাঁরা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ও স্থানীয়ভাবে চিকিৎসা নিয়েছেন।