Thank you for trying Sticky AMP!!

পদ্মায় ধরা পড়ল ২২ কেজির আরেকটি বিপন্ন বাগাড়

রাজবাড়ীর দৌলতদিয়ার পদ্মা ও যমুনা নদীর মোহনায় আজ শনিবার সকালে ২২ কেজি ওজনের বিপন্ন প্রজাতির একটি বাগাড় মাছ জেলেদের জালে ধরা পড়ে

রাজবাড়ীর গোয়ালন্দ উপজেলার দৌলতদিয়া ঘাটে পদ্মা নদীতে আজ শনিবার সকালে ২২ কেজি ওজনের একটি বিপন্ন প্রজাতির বাগাড় মাছ ধরা পড়েছে। মাছটি ভোরের দিকে দৌলতদিয়ার চর করনেশনা এলাকার পদ্মা ও যমুনা নদীর মোহনায় স্থানীয় জেলে অচিন হালদারের জালে ধরা পড়ে।

ফেরিঘাট এলাকার মৎস্য ব্যবসায়ী শাহজাহান শেখ ১ হাজার ৫০ টাকা কেজি দরে ২৩ হাজার ১০০ টাকায় মাছটি কেনেন। তবে বন্য প্রাণী (সংরক্ষণ ও নিরাপত্তা) আইন ২০২২-এর তফসিল অনুযায়ী, বাগাড় বিপন্ন প্রজাতির মাছ। তাই এই আইনে বাগাড় শিকার ও বেচাকেনা নিরুৎসাহিত করা হয়েছে।

মৎস্য ব্যবসায়ী মো. শাহজাহান শেখ বলেন, কেনার পর মাছটি দৌলতদিয়ার ৫ নম্বর ফেরিঘাটের পন্টুনের সঙ্গে রশি দিয়ে বেঁধে রাখা হয়েছে। কেজিপ্রতি তিনি ৫০ টাকা করে লাভ পেলেই মাছটি বিক্রি করে দেবেন। এ জন্য তিনি ঢাকাসহ বিভিন্ন স্থানে মুঠোফোনে যোগাযোগ করছেন।

বাগাড় একটি বিপন্ন প্রজাতির মাছ। এ ধরনের মাছ শিকারে নিরুৎসাহিত করতে ২০২২ সালের জানুয়ারিতে পরিবেশ, বন ও জলবায়ু মন্ত্রণালয়ের বন্য প্রাণী (সংরক্ষণ ও নিরাপত্তা) আইনের তফসিলে বিপন্ন প্রাণী হিসেবে তালিকাভুক্ত করা হয়েছে। বিপন্ন প্রাণী ধরা বা কেনাবেচা দণ্ডনীয় অপরাধ। এ ছাড়া আন্তর্জাতিক প্রকৃতি ও প্রাকৃতিক সম্পদ সংরক্ষণ সংঘের (আইইসিএন) লাল তালিকায় আছে বাগাড় মাছ।

গোয়ালন্দ উপজেলার দায়িত্বপ্রাপ্ত মৎস্য কর্মকর্তা মো. রেজাউল শরীফ বলেন, ‘আমরাও জেনেছি বাগাড় বিপন্ন প্রজাতির মাছ। কিন্তু এ ধরনের মাছ শিকার বন্ধে আমাদের কাছে এখন পর্যন্ত কোনো ধরনের নির্দেশনা বা পরিপত্র আসেনি। যে কারণে আমরা কোনো অভিযান পরিচালনা করতে পারছি না।’