Thank you for trying Sticky AMP!!

রাস্তার কারপেটিং কেটে গাছের শেকড় মুক্ত করার কাজ চলছে। আজ শনিবার সকালে নগরের পাহাড়তলী আমবাগান সড়কে

কংক্রিট কেটে মুক্ত করা হলো গাছের শিকড়

চট্টগ্রাম নগরের পাহাড়তলী এলাকার আমবাগান রাস্তার কার্পেটিং কেটে দুই পাশে থাকা প্রায় ৩০টি দেশজ বৃক্ষের গোড়া এবং শিকড় উন্মুক্ত করার উদ্যোগ গ্রহণ করেছে চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন। এ উপলক্ষে আজ শনিবার সকালে পাহাড়তলী শেখ রাসেল পার্কে ‘মুক্তির গান’ শিরোনামে এক মুক্ত আলোচনার আয়োজন করা হয়। আয়োজনে ছিল গ্রিন ফিঙ্গারস নামের একটি স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন।

এর আগে গত মঙ্গলবার থেকে রাস্তার কার্পেটিং কেটে শতবর্ষী কদম, কড়ই, নিম, কনকচূড়াসহ সব গাছের গোড়া মুক্ত করার কাজ শুরু হয়। এ পর্যন্ত প্রায় ১০টি গাছের গোড়া মুক্ত করা হয়েছে।

সিটি করপোরেশন নগর–পরিকল্পনাবিদ আবদুল্লাহ আল ওমর জানান, আমবাগান রাস্তার দুই পাশে রয়েছে শতবর্ষী কিছু মাতৃবৃক্ষ। বিশাল আকৃতির এসব বৃক্ষকে রেখেই বড় করেছে চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন। তবে রাস্তার কাজ চলার সময় গাছগুলোর গোড়া এবং শিকড় রাস্তার কার্পেটিং ঢাকা পড়ে যায়। এর ফলে গোড়া শুকিয়ে গাছগুলো মারা যাচ্ছিল। শতবর্ষী এসব গাছ নগরের সম্পদ। তাদের বাঁচাতেই পরিবেশকর্মী ও সচেতন নাগরিকদের সমন্বয়ে এ উদ্যোগ নেয় সিটি করপোরেশন। কার্পেটিং কাটার পর গাছগুলোর চারপাশ ঘিরে রং করে দেওয়া হবে। যাতে গাড়ি চলাচলে সমস্যা না হয়।

রাস্তার কারপেটিং কেটে গাছের শেকড় মুক্ত করার কাজ চলছে। আজ শনিবার সকালে নগরের পাহাড়তলী আমবাগান সড়কে

গ্রিন ফিঙ্গারস সংগঠনটির মুখপাত্র পারভীন আখতার জানান, গাছ বাঁচে মাটিতে। গাছের গোড়া কংক্রিট দিয়ে মুড়ে দিলে বৃষ্টির পানি ও বাতাসের অভাবে গাছ মরে যায়। এ কারণে গাছগুলোকে মুক্ত করার দাবি জানিয়েছেন তাঁরা। সেই সঙ্গে দেশের কোথাও যেন কংক্রিট দিয়ে গাছ মুড়ে দেওয়া না হয়, সে দাবিও জানান তিনি।

মুক্তির গান ও মুক্ত আলোচনা। আজ শনিবার সকালে নগরীর পাহাড়তলী শেখ রাসেল পার্কে

মুক্ত আলোচনায় অংশ নেন চক্ষু হাসপাতালের প্রতিষ্ঠাতা রবিউল হোসেন, বীর মুক্তিযোদ্ধা মাহফুজুর রহমান, চট্টগ্রাম কলেজের সাবেক শিক্ষক শুক্লা ইফতেখার, পরিবেশ ফোরামের আলিউর রহমান, বাংলাদেশ পরিবেশ আইনজীবী সমিতির (বেলা) সমন্বয়কারী মনিরা পারভীন, সেইভ দ্য নেচার সংগঠনের মোয়াজ্জেম রিয়াদ প্রমুখ।