Thank you for trying Sticky AMP!!

সকালে ভোটারের খরা, বিকেলে জোয়ার

বগুড়া-৪ আসনের একটি কেন্দ্রে নারী ভোটারদের ভিড়। আজ বুধবার বিকেল সাড়ে তিনটায় বগুড়ার কাহালু উপজেলার বিশা বড়গাছা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে

বগুড়া-৪ (কাহালু-নন্দীগ্রাম) আসনের বিশা বড়গাছা ভোটকেন্দ্রে সকাল থেকেই ছিল ভোটের খরা। প্রথম ঘণ্টায় এই কেন্দ্রে ভোট পড়েছে প্রতিটি বুথে গড়ে দুই থেকে তিনটি করে। দুপুর পর্যন্ত একই চিত্র ছিল কেন্দ্রে। তবে বিকেল গড়াতে না গড়াতেই কেন্দ্রে ভোটার উপস্থিতি বাড়তে থাকে। বিকেলে এই কেন্দ্রে নারী ভোটারের ভিড় ছিল চোখে পড়ার মতো। বেলা আড়াইটা পর্যন্ত কেন্দ্রে ভোট পড়েছে ১৫ শতাংশ। এই কেন্দ্রে ভোটারের সংখ্যা ২ হাজার ৪০৬।

কেন্দ্রের প্রিসাইডিং কর্মকর্তা আবদুল মোমিন প্রথম আলোকে বলেন, সকাল সাড়ে আটটায় কেন্দ্রের ছয়টি বুথে ভোট গ্রহণ শুরু হয়। প্রথম ঘণ্টায় ভোট  পড়েছে ১৫টি। ভোট পড়ার হার দশমিক ৬২ শতাংশ। দ্বিতীয় ঘণ্টায় অর্থাৎ সকাল সাড়ে ১০টা পর্যন্ত ভোট পড়েছে ৫৩টি। ভোট পড়ার হার ২ দশমিক ২ শতাংশ। তৃতীয় ঘণ্টায় অর্থাৎ বেলা সাড়ে ১১টা পর্যন্ত ভোট পড়েছে ১০৪টি। ভোট পড়ার হার ৪ দশমিক ৩২ শতাংশ। দুপুর সাড়ে ১২টা পর্যন্ত ভোট পড়েছে ১৭৫টি। ভোট পড়ার হার ৭ দশমিক ২৭ শতাংশ।

আবদুল মোমিন আরও বলেন, দুপুরের পর থেকে কেন্দ্রে ভোটারদের উপস্থিতি বাড়তে থাকে। দুপুর সাড়ে ১২টা থেকে দেড়টা পর্যন্ত এক ঘণ্টায় ভোট পড়েছে ১০৬টি।  ওই সময় পর্যন্ত মোট ভোট পড়েছে ২৫৯টি। ভোট পড়ার হার ১০ দশমিক ৭৬ শতাংশ। বেলা আড়াইটা পর্যন্ত ভোট পড়েছে ৩৬৫ শতাংশ। ভোট পড়ার হার ১৫ দশমিক ১৭ শতাংশ।

বেলা আড়াইটায় এই কেন্দ্রে গিয়ে দেখা যায়, ‘ভোট দিতে আসা ভোটারের দীর্ঘ লাইন। বিশা দীঘিপাড়ার গৃহবধূ সালমা বেগম বলেন, ‘সকালে বাড়িত কামকাজ আচলো। বিকেলবেলা সগলি ভোট দিবার আচ্চে।’

বড়চাপড় গ্রামের নদিরা বেগম বলেন, ‘বাড়িত মা অসুস্থ হচে। তাই লেটে ভোট দিবার আচ্চি। এড়ইল গ্রামের ভোটার মমতাজ উদ্দিন বলেন, মাঠত ম্যালা কাম। সব কাম শ্যাষ করে ভোট সেন্টারত আচ্চি।’

বিশা গ্রামের ভোটার আবদুর রাজ্জাক বলেন, ভোটত নৌকা নাই, ধানের শীষ নাই। ভোটত আগ্রহ নাই।’

এর আগে বেলা দুইটার দিকে ভোটের খরার চিত্র দেখা যায় কাহালু সদর উপজেলার উলুট্র সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় এবং তহরন নেছা বালিকা উচ্চবিদ্যালয় ভোটকেন্দ্রেও। এই দুই কেন্দ্রে দেড়টা পর্যন্ত ভোট পড়েছে গড়ে ১৫ শতাংশ।