Thank you for trying Sticky AMP!!

দুর্ঘটনায় আহত বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীর মৃত্যু, মহাসড়ক অবরোধ

বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীর মৃত্যুর পর বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা বরিশাল-কুয়াকাটা আঞ্চলিক মহাসড়ক অবরোধ করেন। মঙ্গলবার বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটকের সামনে

সড়ক দুর্ঘটনায় আহত হয়ে চিকিৎসাধীন বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীর মৃত্যুর পর ক্ষতিপূরণসহ পাঁচ দফা দাবিতে বরিশাল-পটুয়াখালী মহাসড়ক অবরোধ করেছেন বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা।

আজ মঙ্গলবার সন্ধ্যা সাড়ে ছয়টার দিকে মহাসড়কটি অবরোধ করে বিক্ষোভ শুরু করেন তাঁরা। এতে মহাসড়কের দুপাশে অসংখ্য যানবাহন আটকা পড়ে যাত্রীরা ভোগান্তিতে পড়েছেন।

মার্কেটিং বিভাগের পঞ্চম ব্যাচের শিক্ষার্থী ইসমাইল খলিল ওরফে ইমন গত শনিবার রাতে ঢাকা থেকে বরিশালে যাচ্ছিলেন। ফরিদপুরের ভাঙ্গার মাধবপুরে সাকুরা পরিবহনের একটি বাস নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে গাছের সঙ্গে ধাক্কা লাগলে ইসমাইল খলিল গুরুতর আহত হন। তাঁকে উদ্ধার করে ফরিদপুরের শেখ মুজিব মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। পরে উন্নত চিকিৎসার জন্য রাজধানীর একটি বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় আজ দুপুরে তিনি মারা যান।

সহপাঠীরা অভিযোগ করেন, মাথা ও নাকে গুরুতর আঘাত পেয়েছিলেন ইসমাইল। দুর্ঘটনার পর পরিচয় অজ্ঞাত থাকায় ফরিদপুরের শেখ মুজিব মেডিকেলে উন্নত চিকিৎসার সুযোগ মেলেনি।

আজ ইসমাইল খলিলের মৃত্যুর খবর ছড়িয়ে পড়লে বিকেলে ক্যাম্পাসে জড়ো হন শিক্ষার্থীরা। এরপর তাঁরা সন্ধ্যার পরে বিক্ষোভ করে বিশ্ববিদ্যালয়ের সামনের বরিশাল-কুয়াকাটা, বরিশাল-ভোলা মহাসড়ক অবরোধ করেন। সড়কে টায়ার জ্বালিয়ে অবস্থান নিয়ে বিক্ষোভ করেন।

মার্কেটিং বিভাগের শিক্ষার্থী রাজু মোল্লা ও সোহাগ গাজী জানান, তাঁরা পাঁচ দফা দাবি দিয়েছেন। এই দাবি না মানা পর্যন্ত তাঁরা মহাসড়ক ছাড়বেন না। দাবির মধ্যে রয়েছে, সাকুরা পরিবহনকে ইসমাইল খলিলের পরিবারকে এক কোটি টাকা ক্ষতিপূরণ দিতে হবে, ইসমাইলের চিকিৎসায় গাফিলতির বিচার করতে হবে, সাকুরা পরিবহনের রুট পারমিট সাময়িক বাতিল করতে হবে, প্রতিটি বাসকে জিপিএস ট্র্যাকিংয়ের আওতায় এনে গতি পর্যবেক্ষণ করতে হবে, অতিরিক্ত গতির জন্য দায়ী বাসকে জরিমানার আওতায় আনতে হবে এবং স্পিডলক ব্যবস্থা কার্যকর করতে হবে।

বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর মো. খোরশেদ আলম রাত পৌনে আটটার দিকে প্রথম আলোকে বলেন, ‘আমরা শিক্ষার্থীদের সঙ্গে আলোচনা চালাচ্ছি। এরই মধ্যে সাকুরা পরিবহনের প্রতিনিধিকে এখানে ডেকে আনা হয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন, পুলিশ প্রশাসন ও বাস কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আলোচনা হবে।’