Thank you for trying Sticky AMP!!

কাশিমপুর কারাগারে কয়েদির মৃত্যু, গলায় কালো দাগ, কারারক্ষী বরখাস্ত

কাশিমপুর কেন্দ্রীয় কারাগার

গাজীপুরের কাশিমপুর কেন্দ্রীয় হাইসিকিউরিটি কারাগারের মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত এক কয়েদির মৃত্যু হয়েছে। তাঁর গলায় কালো দাগ পাওয়া গেছে। প্রাথমিক সুরতহালের বরাত দিয়ে পুলিশ বলছে, ওই কয়েদি আত্মহত্যা করেছেন। আজ বৃহস্পতিবার সকাল ১০টার দিকে এ ঘটনা ঘটে।

দণ্ডপ্রাপ্ত কয়েদি হলেন কিশোরগঞ্জের পাকুন্দিয়া উপজেলার পাবদা গ্রামের সোহরাব উদ্দিনের ছেলে নজরুল ইসলাম (৩০)। তাঁর কয়েদি নম্বর ৪৯৭৬/এ। এ ঘটনায় দায়িত্বে অবহেলার কারণে এক কারারক্ষীকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে। সেই সঙ্গে দুই সহকারী কারারক্ষীর বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।

কারা কর্তৃপক্ষের দেওয়া তথ্যমতে, কিশোরগঞ্জের পাকুন্দিয়া থানায় করা স্ত্রী ও সন্তান হত্যা মামলায় নজরুল ইসলাম সাজা পেয়ে মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত কয়েদি হিসেবে গাজীপুরের কাশিমপুর হাইসিকিউরিটি কারাগারে বন্দী ছিলেন। কিশোরগঞ্জ থেকে তাঁকে ২০২১ সালের ২০ মার্চ কাশিমপুর কারাগারে পাঠানো হয়। আজ সকালে কারাগারের ভেতর অচেতন হয়ে পড়েন নজরুল। তাৎক্ষণিকভাবে তাঁকে কারা হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হয়। সেখানে তাঁর অবস্থার অবনতি হলে শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয়। সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসক ওই কয়েদিকে মৃত ঘোষণা করেন।

কাশিমপুর হাইসিকিউরিটি কারাগারের জ্যেষ্ঠ জেল সুপার সুব্রত কুমার বালা জানান, বন্দী নজরুল ইসলাম দীর্ঘদিন ধরে মানসিক রোগে ভুগছিলেন। তিনি কারাগারের ভেতরে আত্মহত্যার চেষ্টা করে সঙ্গাহীন হয়ে পড়েন। এ সময় তাঁকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। এ ঘটনায় দায়িত্বে অবহেলার কারণে কারাগারের কারারক্ষী রফিকুল ইসলামকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে। এ ছাড়া আরও দুই সহকারী কারারক্ষীর বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।

গাজীপুর মেট্রোপলিটনের কোনাবাড়ি থানার উপপরিদর্শক (এসআই) লিটন শরিফ বলেন, বৃহস্পতিবার দুপুরে ওই হাসপাতালের মর্গে নিহত ব্যক্তির সুরতহাল প্রতিবেদন করা হয়। এ সময় দেখা যায়, নিহত গলায় আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, ওই ব্যক্তি কারাগারের ভেতরে কোনোভাবে আত্মহত্যা করেছেন। সুরতহাল প্রতিবেদন করার সময় গাজীপুরের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট রুহুল আমিন উপস্থিত ছিলেন। নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট রুহুল আমিন বলেন, নিহত বন্দীর গলায় কালো দাগ রয়েছে। ময়নাতদন্তের পর মৃত্যুর সঠিক কারণ জানা সম্ভব হবে।