Thank you for trying Sticky AMP!!

যুবকের ‘ছোড়া’ দাহ্য পদার্থে ঝলসে গেছে সাবেক স্ত্রী ও তাঁর ভাতিজির মুখ-গলা

নাটোর জেলার মানচিত্র

নাটোরের লালপুর উপজেলায় যুবকের ‘ছোড়া’ দাহ্য পদার্থে সাবেক স্ত্রী ও তাঁর ভাতিজির মুখমণ্ডল ও গলা ঝলসে গেছে। গতকাল মঙ্গলবার রাত ৯টার দিকে উপজেলার দুড়দুড়িয়া ইউনিয়নের নতুনপাড়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।

অভিযুক্ত যুবকের নাম মোহাম্মদ জিয়া (২৫)। তিনি লালপুরের রামকৃষ্ণপুর গ্রামের আব্দুস সাত্তারের ছেলে। দগ্ধ দুজন হলেন তাঁর সাবেক স্ত্রী রিমা খাতুন (২২) ও রিমার ভাতিজি মাইমুনা খাতুন (৪)। রিমা উপজেলার নতুনপাড়া গ্রামের রান্টু আলীর মেয়ে। মাইমুনা খাতুন রিমার চাচাতো ভাই লালন আলীর মেয়ে।

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, মোহাম্মদ জিয়ার সঙ্গে বিয়ের পর রিমা খাতুন জানতে পারেন, তাঁর স্বামী একজন মাদকাসক্ত। কিছুদিন পর মাদক মামলায় জিয়ার সাজা হয়। এ পরিস্থিতিতে চার মাস আগে স্বামীর সঙ্গে রিমার বিবাহবিচ্ছেদ হয়। মামলায় জামিন পেয়ে মোহাম্মদ জিয়া গতকাল রাতে রিমার বাবার বাড়িতে যান। সেখানে সাবেক স্ত্রী রিমার সঙ্গে কথা-কাটাকাটির একপর্যায়ে দাহ্য পদার্থ ছুড়ে মারেন জিয়া। এতে রিমা ও তাঁর ভাতিজি মাইমুনার মুখমণ্ডল ও গলা ঝলসে গেছে। পরে স্বজনেরা দুজনকে উদ্ধার করে বাঘা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যান। সেখানে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে দুজনকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। বর্তমানে সেখানে দুজনের চিকিৎসা চলছে।

বাঘা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের চিকিৎসক উম্মে হাবিবা বলেন, তরল দাহ্য পদার্থে দগ্ধ দুজন রোগী মঙ্গলবার রাতে তাঁদের হাসপাতালে আনা হয়। উভয় রোগীর মুখমণ্ডল ও গলা ঝলসে গেছে। প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে দুজনকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।

ঘটনার পর থেকে অভিযুক্ত মোহাম্মদ জিয়া পলাতক থাকায় এ বিষয়ে তাঁর বক্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি।

লালপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা নাসিম আহম্মেদ বলেন, দগ্ধ দুজনের চিকিৎসাকাজে ব্যস্ত থাকায় স্বজনেরা এখনো থানায় লিখিত অভিযোগ দেননি। তবে ঘটনার পর থেকে অভিযুক্ত জিয়াকে ধরার চেষ্টা চলছে।