Thank you for trying Sticky AMP!!

শান্তির বাণী প্রচারে কলকাতা থেকে নোয়াখালীতে ৪ নারীর পদযাত্রা

মহাত্মা গান্ধীর শান্তির বাণী ছড়িয়ে দিতে ভারতের কলকাতা থেকে বাংলাদেশের নোয়াখালীতে চার নারীর পদযাত্রা। শুক্রবার সকালে যশোর শহরের বঙ্গবন্ধু সড়কে

মহাত্মা গান্ধীর অহিংসা ও শান্তির বাণী ছড়িয়ে দিতে ভারতের কলকাতা থেকে পায়ে হেঁটে যশোরে এসেছেন চার নারী। আজ শুক্রবার সকালে দলটি যশোর সার্কিট হাউস থেকে নড়াইলের উদ্দেশে যাত্রা শুরু করে।

গতকাল বৃহস্পতিবার ভারতের বেলেঘাটার গান্ধী ভবন থেকে এ পদযাত্রা শুরু হয়। এরপর রাতে পেট্রাপোল-বেনাপোল সীমান্ত দিয়ে যশোরে পৌঁছান তাঁরা। তাঁরা লোহাগড়া-ফরিদপুর-ভাঙ্গা-মাওয়া হয়ে ঢাকায় যাবেন। ১৬ মার্চ নোয়াখালীর গান্ধী আশ্রমে স্থানীয় সুধী সমাবেশের মাধ্যমে এ যাত্রা শেষ হবে।

ভারতের সিস্টার নিবেদিতা ইউনিভার্সিটির (এসএনইউ) সহযোগিতায় গান্ধী আশ্রম ট্রাস্টের আয়োজনে ‘গান্ধী পিস ওয়াক-২০২৩’ শীর্ষক এ পদযাত্রা শুরু হয়। কলকাতার বেলেঘাটার গান্ধী ভবন থেকে পদযাত্রা শুরু হয়ে চার সদস্যের দলটি গতকাল রাতে বেনাপোল হয়ে যশোরে আসেন। পদযাত্রার দলনেতা আরজুমন্দ জায়েদি। অন্য তিন সদস্য হলেন কাশিশ খানম, আনুশকা ও পার্নোমিতা ডাঙ্গওয়াল।

‘গান্ধী পিস ওয়াক-২০২৩’ শিরোনামে একটি ব্যানার এবং ভারতের জাতীয় পতাকা হাতে নিয়ে দলটিকে পায়ে হেঁটে পদযাত্রা করতে দেখা গেছে। সড়কে হেঁটে যাওয়ার সময় সাধারণ মানুষের কাছে শান্তির বার্তা দিচ্ছেন তাঁরা। ভারতীয় দলটির সঙ্গে নোয়াখালীর গান্ধী আশ্রমের দুজন প্রতিনিধিও আছেন।

দলনেতা আরজুমন্দ জায়েদি সাংবাদিকদের বলেন, মহাত্মা গান্ধীর চিন্তাভাবনা গোটা বিশ্বকেই উজ্জীবিত করে। তাঁর শান্তির বাণী আজ সারা বিশ্বেই সমাদৃত। শান্তি প্রতিষ্ঠাই তাঁদের এ পদযাত্রার লক্ষ্য।

নোয়াখালীর গান্ধী আশ্রমের শান্তিকর্মী খাইরুজ্জামান খোকন বলেন, ব্রিটিশ শাসনামলে শেষের দিকে ভারতবর্ষের বিভিন্ন জায়গার মতো নোয়াখালীতেও হিন্দু-মুসলিম সাম্প্রদায়িক দাঙ্গা ছড়িয়ে পড়ে। সেই দুঃসময়ে শান্তির বার্তা নিয়ে নোয়াখালী ছুটে আসেন মহাত্মা গান্ধী। ১৯৪৬ সালের ৭ নভেম্বর থেকে ১৯৪৭ সালের ২ মার্চ পর্যন্ত নোয়াখালীতে থাকতে তিনি গ্রামে গ্রামে ঘুরে দাঙ্গায় ক্ষতিগ্রস্ত ব্যক্তিদের পুনর্বাসন, হিন্দু-মুসলিম ভ্রাতৃত্ব স্থাপনসহ সেবামূলক কাজ করেন। মহাত্মা গান্ধী আমৃত্যু মানুষের মধ্যে শান্তি ও অহিংসার বাণী প্রচার করে গেছেন। মহাত্মা গান্ধীর অহিংসা ও শান্তির বাণী ছড়িয়ে দিতেই এ আয়োজন।