১১৯ বছরেও হয়নি একাডেমিক ভবন
প্রত্যন্ত এলাকায় টুটিয়ারচর মাজহারুল উলুম দাখিল মাদ্রাসা। ১৯০৩ সালে প্রতিষ্ঠিত হওয়া প্রতিষ্ঠানটি ১৯৭৯ সালে এমপিওভুক্ত হয়।
শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানটির বয়স ১১৯ বছর। সেখান থেকে শিক্ষার আলো নিয়ে ভাগ্য বদল করেছেন অনেকে। জীবনে প্রতিষ্ঠিত হওয়ার পাশাপাশি দেশ ও সমাজসেবায় ভূমিকা রাখছেন কেউ কেউ। শুধু ভাগ্য বদলায়নি প্রতিষ্ঠানটির। তবুও জরাজীর্ণ অবস্থায় আলো ছড়াচ্ছে প্রতিষ্ঠানটি।
কিশোরগঞ্জ সদর উপজেলার চৌদ্দশত ইউনিয়নের প্রত্যন্ত এলাকায় অবস্থিত টুটিয়ারচর মাজহারুল উলুম দাখিল মাদ্রাসা। ১৯০৩ সালে প্রতিষ্ঠিত হওয়া প্রতিষ্ঠানটি ১৯৭৯ সালে এমপিওভুক্ত হয়। এত বছরেও মাদ্রাসাটির নেই কোনো একাডেমিক ভবন। ফলে শিক্ষক ও শিক্ষার্থীরা পাঠদানের সময় ভোগান্তি পোহাচ্ছেন।
সম্প্রতি সরেজমিন দেখা যায়, মাদ্রাসাটি প্রতিষ্ঠিত হওয়ার পর থেকে একটি ভবন হলেও ব্যবহার হচ্ছে অফিসকক্ষ হিসেবে। আর কোনো ভবন না হওয়ায় জরাজীর্ণ টিনের ঘরে চলছে পাঠদান কার্যক্রম। শুধু তাই নয়, শ্রেণিকক্ষের অভাবে মাদ্রাসার পাশের মসজিদের ভেতরে কালো পর্দা টানিয়ে দুই পাশে আলাদাভাবে ছাত্র-ছাত্রীদের নিয়মিত ক্লাস নেওয়া হচ্ছে।
মাদ্রাসাটির শিক্ষকেরা জানান, শুকনো মৌসুমে তেমন অসুবিধা না হলেও বর্ষাকালে টিনের ছিদ্র দিয়ে পানি পড়ে। এতে কাঁদা তৈরি হয়ে মসজিদে ক্লাস করা ছাত্রছাত্রীদের দুর্বিষহ হয়ে পড়ে। যে প্রতিষ্ঠান যুগের পর যুগ সমাজে আলো ছড়াচ্ছে, তার অন্ধকার যেন কাটছে না কোনোভাবেই।
কিশোরগঞ্জ টুটিয়ারচর মাজহারুল উলুম দাখিল মাদ্রাসার তত্ত্বাবধায়ক মো. বশির উদ্দিন বলেন, ৫২ শতাংশ জায়গার ওপর স্থাপিত প্রতিষ্ঠানটিতে ২২ জন শিক্ষক ও কর্মচারী আছেন। ১০টি শ্রেণিকক্ষের প্রয়োজন থাকলেও আছে ৬টি। যেখানে প্রায় ৪৫০ শিক্ষার্থীকে পাঠদান করা হয়। প্রতিবছর পাসের হার প্রায় শতভাগ।
প্রতিষ্ঠানটির পরিচালনা পর্ষদের সভাপতি মো. শরীফুল ইসলাম বলেন, এ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে শ্রেণিকক্ষ–সংকট আর করুণ অবস্থার কারণে শিক্ষাকার্যক্রম চালিয়ে যাওয়া ব্যাহত হচ্ছে। এ বিষয়ে সরকারের নজর দেওয়া উচিত।
এ বিষয়ে জেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা শামছুন নাহার বলেন, তিনি ওই মাদ্রাসার ভবন–সংকটের বিষয়টি জানেন না। তবে খোঁজ নিয়ে এ ব্যাপারে উদ্যোগ নেবেন।