Thank you for trying Sticky AMP!!

নড়াইলের লোহাগড়ায় পথসভায় বক্তব্য দিচ্ছেন মাশরাফি বিন মুর্তজা। এক মাস পর আজ তিনি এলাকায় ফেরেন

এক মাস পর এলাকায় ফিরে মাশরাফি বললেন, ‘পাশে ছিলাম, থাকব’

আওয়ামী লীগের মনোনয়ন ঘোষণার এক মাস পর নির্বাচনী এলাকায় ফিরেছেন নড়াইল-২ (লোহাগড়া-সদর একাংশ) আসনের নৌকার প্রার্থী সংসদ সদস্য মাশরাফি বিন মুর্তজা। আজ রোববার বিকেলে নড়াইলে ফিরে কয়েকটি পথসভায় অংশ নিয়ে বক্তব্য দেন তিনি।

পথসভায় মাশরাফি বিন মুর্তজা বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী আমাকে নৌকা প্রতীক দিয়েছেন। আপনারা আমাকে ম্যান্ডেট দিলে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার হাতকে আরও শক্তিশালী করতে কাজ করব। আপনাদের পাশে ছিলাম। আগামীতেও জীবন দিয়ে পাশে থাকব। আমার পায়ে ইনজুরি থাকায় এলাকায় আসতে দেরি হলো।’

আজ সকালে ঢাকা থেকে গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়ায় এসে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সমাধিতে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন মাশরাফি। এ সময় নড়াইল ও লোহাগড়ার আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের নেতারা তাঁর সঙ্গে ছিলেন। বেলা সাড়ে তিনটার দিকে তিনি নির্বাচনী এলাকায় ফেরেন।

মাশরাফি বিন মুর্তজা প্রথমেই নড়াইলের প্রবেশদ্বার মধুমতী সেতুর পাশে কালনায় পথসভায় বক্তব্য দেন। এরপর লোহাগড়া-নড়াইল সড়কের লোহাগড়া পৌর এলাকার আলামুন্সির মোড়, কুন্দশী চৌরাস্তা ও লোহাগড়া পৌর আওয়ামী লীগ কার্যালয়ের সামনে এবং কাশিপুর ইউনিয়নের এড়েন্দায় পথসভায় বক্তব্য দেন। এরপর নড়াইল শহরে বঙ্গবন্ধুর ম্যুরাল ও শিল্পকলা একাডেমির শহীদ স্মৃতিস্তম্ভে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন। সেখান থেকে তাঁর পৈতৃক ভিটা সদর উপজেলার মাইজপাড়ায় গিয়ে আওয়ামী লীগের বর্ধিত সভায় যোগ দেন তিনি।

Also Read: মাশরাফির আয় কমেছে, বেড়েছে ঋণ ও স্থায়ী আমানত

লোহাগড়ায় পথসভায় মাশরাফি বলেন, ‘লোহাগড়া আমার নিজের মাটি। এই মাটির সঙ্গে গত পাঁচ বছর মিশে থাকার চেষ্টা করেছি। করোনার সময়ে আপনাদের পাশে ছিলাম। হয়তো প্রত্যেক গ্রামে যেতে পারিনি। চেষ্টা করছি প্রত্যেক গ্রামে যাওয়ার, সব মানুষের সঙ্গে কথা বলার।’ তিনি বলেন, ‘বিগত পাঁচ বছর অনেক প্রতিকূলতা গিয়েছে। করোনার মতো মহামারি ও সারা বিশ্বে অর্থনৈতিক মন্দা। প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে এত কঠিন সময় দারুণভাবে পার করেছেন। আশা করছি, এবার সবকিছু ঠিকঠাক থাকলে কাজের প্রক্রিয়া ও ধরন আরও ভালো হবে।’

মাশরাফি এলাকায় আসার খবরে লোহাগড়া-নড়াইল সড়কের উভয় পাশে শত শত মানুষ ভিড় করেন। তাঁকে শুভেচ্ছা জানিয়ে তাঁরা বিভিন্ন ধরনের স্লোগান দিতে থাকেন। আবার জায়গায় জায়গায় সড়কের ওপর লোকজন জড়ো হয়ে পথ আটকে তাঁর সঙ্গে কথা বলার চেষ্টা করেন। ভিড় সামলে পথচলা কঠিন হয়ে পড়ে মাশরাফির। কয়েকবার হুমড়ি খেয়ে পড়ে যান।

এ সময় তাঁর অনুসারীরা আচরণবিধি মেনে চলার জন্য হ্যান্ডমাইকে সবাইকে বারবার অনুরোধ করেন। পথসভা এলাকায় নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও লোহাগড়া উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) আফরিন জাহানের নেতৃত্বে পুলিশ সদস্যরা আচরণবিধি প্রতিপালনে সচেষ্ট ছিলেন।

রিটার্নিং কর্মকর্তার কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, নির্বাচনে মাশরাফির প্রতিদ্বন্দ্বী আছেন পাঁচজন। এর মধ্যে বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টির শেখ হাফিজুর রহমান ১৪–দলীয় জোটের প্রার্থী হিসেবে ২০১৪ সালে দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে নৌকা প্রতীক নিয়ে সংসদ সদস্য হয়েছিলেন। এ ছাড়া জাতীয় পার্টির খন্দকার ফায়েকুজ্জামান, ইসলামী ঐক্যজোটের মো. মাহবুবুর রহমান, ন্যাশনাল পিপলস পার্টির মো. মনিরুল ইসলাম ও গণফ্রন্টের মো. লতিফুর রহমান নির্বাচন করছেন।