Thank you for trying Sticky AMP!!

গ্রামের বেহাল সড়ক স্বেচ্ছাশ্রমে মেরামত 

স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের কাছে ধরনা দিয়েও কোনো সাড়া পাওয়া যায়নি। অবশেষে তাঁরা ঐক্যবদ্ধ হয়ে সড়ক মেরামত করেছেন।

জনপ্রতিনিধিদের কাছে ধরনা দিয়ে কাজ হয়নি। তাই স্বেচ্ছাশ্রমে সড়ক মেরামত করেন এলাকাবাসী। গতকাল কয়রার দেয়াড়া প‌শ্চিমপাড়া গ্রামে

কারও হাতে কোদাল, কেউ ঝুড়িতে বালু ভরছেন, আবার কেউ বালুভর্তি ঝুড়ি মাথায় নিয়ে সড়কে ফেলছেন, কেউ ইট সাজিয়ে দিচ্ছেন। এভাবেই খুলনার কয়রা উপজেলার দেয়াড়া প‌শ্চিমপাড়া গ্রামে গতকাল শুক্রবার দিনভর স্বেচ্ছাশ্রমে সড়ক মেরামত করলেন এলাকাবাসী।

দেয়াড়া গ্রামের বাসিন্দারা জানান, ইট বিছানো সড়কটি চলাচলের অযোগ্য হয়ে পড়েছিল। স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের কাছে ধরনা দিয়েও কোনো সাড়া পাওয়া যায়নি। অবশেষে তাঁরা ঐক্যবদ্ধ হয়ে সড়ক মেরামত করেছেন।

আপাতত সড়কটি সংস্কারের কোনো বরাদ্দ নেই। তবে সামনে বরাদ্দ পেলে সড়কটি আরও ভালো করে মেরামত করা হবে।
আবদুল্লাহ আল মাহমুদ, ইউপি চেয়ারম্যান

দেয়াড়া গ্রামের বাসিন্দা তরিকুল ইসলাম বলেন, সড়কটির আধা কিলোমিটারজুড়ে কয়েক বছর ধরে চলাচলের অনুপযোগী ছিল। শুধু দেয়াড়া গ্রাম ছাড়াও পাশের অন্তাবুনিয়া, জয়পুর, হোগলা গ্রামের বাসিন্দাদের উপজেলা সদরে যাওয়ার একমাত্র সড়ক এটি। সড়কটি দিয়ে এক‌টি মাদ্রাসা, দুটি প্রাথমিক বিদ্যালয় ও একটি মাধ্যমিক বিদ‌্যা‌লয়ের শিক্ষার্থীরা যাতায়াত করে। গতকাল সকাল থেকে গ্রামের লোকজন উদ্যোগী হয়ে রাস্তা মেরামত করেন।

স্বেচ্ছাশ্রমে রাস্তা মেরামতের কাজে নেতৃত্ব দেন স্থানীয় শিক্ষক খলিলুর রহমান ও নজরুল ইসলাম। তাঁরা বলেন, ‘গ্রামের সড়কটি চলাচলের জন্য অযোগ্য হওয়ায় গ্রামের কোনো মানুষ অসুস্থ হলে অ্যাম্বুলেন্স আসত না। সকাল থেকে গ্রামের ৪০ জন স্বেচ্ছাশ্রমে অংশ নেন। রাস্তার পুরোনো ইটগুলো আগেই ছিল। বালুর ব্যবস্থা করেছেন স্থানীয় এক ব্যক্তি। 

আহসান হাবিব নামের এক শিক্ষার্থী বলেন, কয়রা উপজেলা সদর থেকে ওই সড়কে আসতে চাইলে যানবাহনের কোনো চালকই রাজি হন না। বাধ্য হয়ে হেঁটে যাতায়াত করতে হয়। এ কারণে তাঁরা সড়কটি মেরামত করেছেন।

মহারাজপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আবদুল্লাহ আল মাহমুদ বলেন, আপাতত সড়কটি সংস্কারের কোনো বরাদ্দ নেই। তবে সামনে বরাদ্দ পেলে সড়কটি ভালো করে মেরামত করা হবে।