Thank you for trying Sticky AMP!!

মেলা শেষ হলেও মাঠ থেকে অবকাঠামো অপসারণ করা হয়নি। গতকাল সকালে রংপুরের উলিপুরে শেখ রাসেল মিনি স্টেডিয়ামে

মাঠে মেলার অবকাঠামো, আট মাস খেলা বন্ধ

কুড়িগ্রামের উলিপুরে শেখ রাসেল মিনি স্টেডিয়াম মাঠে মেলার অবকাঠামো ও সামগ্রী পড়ে আছে। এতে প্রায় ৮ মাস ধরে খেলাধুলা বন্ধ রয়েছে। এ ঘটনায় খেলোয়াড় ও উপজেলার ক্রীড়া সংগঠকেরা ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন।

গত বছর জুনে মিনি স্টেডিয়ামে হস্ত-কুটিরশিল্প ও পণ্য মেলা আয়োজনের উদ্যোগ নেয় উপজেলা পরিষদ। ৮ মাস খেলার মাঠ দখলে রেখে গত ১৯ জানুয়ারি মেলা শুরু হয়। ১২ ফেব্রুয়ারি মেলা শেষ হলেও এখন পর্যন্ত মাঠ থেকে মেলার সামগ্রী সরানো হয়নি। এতে খেলোয়াড়দের অনুশীলনে ব্যাঘাত ঘটছে।

উপজেলা ক্রীড়া সংস্থা সূত্রে জানা যায়, প্রায় দুই বছর আগে স্থানীয় খেলোয়াড়দের অনুশীলন ও উপজেলা পর্যায়ে খেলাধুলা পরিচালনার জন্য ৪২ লাখ টাকা ব্যয়ে উলিপুর উপজেলা পরিষদ গেটের সামনে এই মিনি স্টেডিয়াম নতুন করে সাজানো হয়। গত বছর মিনি স্টেডিয়াম মাঠ উপজেলা প্রশাসন মেলার জন্য দখলে নেয়। এ কারণে গত বছর জুনে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান জাতীয় গোল্ডকাপ ফুটবল টুর্নামেন্টের (অনূর্ধ্ব-১৭) খেলাগুলো উপজেলা সদর থেকে দূরে ধামশ্রেনী ইউনিয়নের মাঠে অনুষ্ঠিত হয়। মেলা উপলক্ষে মাসের পর মাস খেলার মাঠ বন্ধ থাকলেও কোনো ব্যবস্থা নেয়নি প্রশাসন।

উপজেলা ক্রীড়া সংস্থার সদস্যসচিব জাহাঙ্গীর হোসেন সরদার প্রথম আলোকে বলেন, ‘গত বছরের মাঝামাঝি থেকে মেলার দখলে খেলার মাঠ থাকায় খেলোয়াড়দের অনুশীলনে অসুবিধা হচ্ছে। তবে মেলা ও সার্কাসের বিষয়ে আমার সঙ্গে কারও কোনো আলোচনা হয়নি।’ তিনি আরও বলেন, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) এই খেলার মাঠের সভাপতি। এখানে আর কত দিন মেলা চলবে, সেটি তিনি বলতে পারবেন।

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, গত বছরের জুনে মাঠ ঘিরে করা হয় মেলার আয়োজন। তখন থেকে স্টেডিয়ামে খেলাধুলা বন্ধ। ১৯ জানুয়ারি মেলা শুরু হয়। কয়েক দিন পর চটকদার সব বিজ্ঞাপন প্রচার করে বিভিন্ন রকমের পুরস্কারের ঘোষণা দেওয়া হয়। প্রতিদিন র‍্যাফল ড্রয়ের টিকিট বিক্রি করা হয়। এ নিয়ে সমালোচনা শুরু হলে ১২ ফেব্রুয়ারি মেলা বন্ধ করে দেয় কর্তৃপক্ষ। এদিকে মেলা কর্তৃপক্ষ পুনরায় প্রশাসনের অনুমতি নিয়ে মেলা চালানোর প্রস্তুতি নিচ্ছেন।

মেলা পরিচালনা কমিটির সভাপতি, উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান গোলাম হোসেন বলেন, ‘উপজেলা পরিষদের উদ্যোগে ১২ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত মেলা চালানো হয়েছে। বর্তমানে চলমান মেলার বিষয়গুলো আমার জানা নেই। তবে আমি শুনেছি, সার্কাস ও মেলার প্রোপাইটার প্রশাসনের কাছে মেলা পুনরায় চালানোর জন্য ধরনা দিচ্ছেন।’

শেখ রাসেল মিনি স্টেডিয়াম মাঠের সভাপতি ও ভারপ্রাপ্ত ইউএনও কাজী মাহমুদুর রহমান জানান, মেলা চালানোর অনুমতি এক সপ্তাহ আগে শেষ হয়েছে। তাদের দ্রুত মাঠ খালি করতে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। এরপরও যদি তারা বিলম্ব করে, তাহলে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।