Thank you for trying Sticky AMP!!

রায়পুরায় নির্জন কলাবাগানে পড়ে ছিল অজ্ঞাতনামা দুই ব্যক্তির লাশ

জোড়া হত্যাকাণ্ডের খবর পেয়ে পুলিশ সুপারসহ জেলা পুলিশের উর্ধ্বতন কর্মকর্তারা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন। আজ দুপুরে রায়পুরার আদিয়াবাদ ইউনিয়নের শেরপুর গ্রামে

নরসিংদীর রায়পুরায় একটি নির্জন কলাবাগান থেকে রক্তাক্ত অবস্থায় পড়ে থাকা অজ্ঞাতনামা দুই ব্যক্তির লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। আজ সোমবার দুপুরে উপজেলার আদিয়াবাদ ইউনিয়নের শেরপুর গ্রাম থেকে দুজনের লাশ উদ্ধার করা হয়। পুলিশ ধারণা করছে, ওই দুই ব্যক্তিকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে হত্যা করে দুর্বৃত্তরা কলাবাগানে লাশ ফেলে রেখেছে।

তাৎক্ষণিকভাবে নিহত দুই ব্যক্তির পরিচয় জানতে পারেনি পুলিশ। স্থানীয় লোকজনও তাঁদের কাউকে চিনতে পারছেন না। তাঁদের মধ্যে এক ব্যক্তির আনুমানিক বয়স ৪০ ও আরেকজনের ৪৫ বছর।

স্থানীয় লোকজনের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, কলাবাগানটি রফিকুল ইসলাম নামের স্থানীয় এক কৃষকের বলে জানা গেছে। নির্জন এই বাগানের দুই পাশে শিমখেত, এক পাশে ছোট পুকুর ও অন্য পাশ খোলা। আশপাশের অন্তত এক কিলোমিটার এলাকার ভেতর কোনো বাড়িঘর নেই। এখানে কৃষিকাজ করতে আসা কৃষক ছাড়া সাধারণত আর কেউ চলাচল করে না।

পুলিশ জানায়, আজ দুপুর ১২টার দিকে স্থানীয় এক কৃষক ওই বাগানের সামনে দিয়ে যাওয়ার সময় দুই ব্যক্তির রক্তাক্ত লাশ পড়ে থাকতে দেখেন। এ সময় তাঁর চিৎকারে আশপাশে থাকা কৃষকেরা সেখানে ছুটে আসেন। পরে স্থানীয় এক ব্যক্তি জাতীয় জরুরি সেবা নম্বরে (৯৯৯) কল দিলে বেলা দেড়টার দিকে রায়পুরা থানা-পুলিশ ঘটনাস্থলে আসে।

লাশ উদ্ধারের খবর পেয়ে স্থানীয় লোকজন ওই কলাবাগানের আশপাশে ভিড় করছেন

ঘটনাস্থল পরিদর্শনকারী রায়পুরা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আজিজুর রহমান বলেন, কলাবাগানের ভেতরে ১৫ হাত দূরত্বে দুই ব্যক্তির লাশ পড়ে ছিল। নিহত দুজনের মাথাসহ মুখমণ্ডলে ধারালো অস্ত্র দিয়ে উপর্যুপরি আঘাত করা হয়েছে। লাশের পাশে একটি দড়ি ও কিছু টাকা পাওয়া গেছে। লাশ দুটির সুরতহাল প্রতিবেদন তৈরির পর ময়নাতদন্তের জন্য নরসিংদী সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠানোর প্রস্তুতি চলছে।

পুলিশ জানিয়েছে, জোড়া হত্যাকাণ্ডের খবর পেয়ে পুলিশ সুপার কাজী আশরাফুল আজীম, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (অপরাধ) অনির্বাণ চৌধুরী, রায়পুরা সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সত্যজিৎ কুমার ঘোষ, জেলা গোয়েন্দা শাখার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ আবুল বাসার ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন। হত্যাকাণ্ডের রহস্য উদ্‌ঘাটনের জন্য ইতিমধ্যে ছায়া তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই) ও জেলা গোয়েন্দা শাখা (ডিবি)।

জানতে চাইলে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (অপরাধ) অনির্বাণ চৌধুরী প্রথম আলোকে বলেন, কে বা কারা জোড়া হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত, তাঁদের খুঁজে বের করতে পুলিশি তদন্ত শুরু হয়েছে। নিহত দুই ব্যক্তির পরিচয় শনাক্তের জন্য পিবিআই তাঁদের আঙুলের ছাপ নিয়েছে।