Thank you for trying Sticky AMP!!

সাবেক সংসদ সদস্য আবু রেজা মুহাম্মদ নেজামুদ্দিন নদভী ও নদভীর স্ত্রী রিজিয়া রেজা চৌধুরী

সাবেক সংসদ সদস্য নদভী ও তাঁর স্ত্রীর বিরুদ্ধে মামলা

দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের সময় আচরণবিধি লঙ্ঘনের অভিযোগ চট্টগ্রাম-১৫ (সাতকানিয়া-লোহাগাড়া) আসনের সাবেক সংসদ সদস্য আবু রেজা মুহাম্মদ নেজামুদ্দিন নদভী ও তাঁর স্ত্রী রিজিয়া রেজা চৌধুরীর বিরুদ্ধে আদালতে মামলা হয়েছে।

আজ বুধবার চট্টগ্রামের জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট-২ আওলাদ হোসেন মুহাম্মদ জোনাইদের আদালতে মামলাটি করেন সাতকানিয়া উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা বিকল চাকমা।

চট্টগ্রাম জেলা আদালতের পিপি শেখ ইফতেখার সাইমুল চৌধুরী জানান, আদালত মামলাটি গ্রহণ করে দুই আসামির বিরুদ্ধে সমন জারি করেছেন। মামলার পরবর্তী শুনানির দিন ২৬ জুন। মামলার বাদী বিকল চাকমা বলেন, নির্বাচনী অনুসন্ধান কমিটির প্রতিবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে নির্বাচন কমিশন আচরণবিধি লঙ্ঘনের অভিযোগে মামলা করা হয়েছে।

২ জানুয়ারি আচরণবিধি লঙ্ঘনের অভিযোগ করেছিলেন ওই আসনের স্বতন্ত্র প্রার্থী আওয়ামী লীগ নেতা এম এ মোতালেব। অভিযোগে বলা হয়, ১ ডিসেম্বর বেলা তিনটায় আওয়ামী লীগ মনোনীত নৌকা মার্কার প্রার্থী আবু রেজা মুহাম্মদ নেজামুদ্দিন নদভী প্রচারণার সময় চুনতি মাদ্রাসার জন্য এক কোটি টাকার অনুদানের ঘোষণা দেন।

পাশাপাশি ওই সমাবেশে তিনি একজন সমর্থকের ছেলেকে চাকরি দেওয়ার ঘোষণা দেন। অন্য এক সমাবেশে আন্তর্জাতিক ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের এক শিক্ষার্থীকে তিনি বৃত্তি দেওয়ার ঘোষণা দেন।

এমন অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে নির্বাচনী অনুসন্ধান কমিটি নোটিশ দিলে ৪ জানুয়ারি হাজির হয়ে এর লিখিত ব্যাখ্যা দেন নদভী ও তাঁর স্ত্রী রিজিয়া রেজা।

নির্বাচনী অনুসন্ধান কমিটি তাদের অনুসন্ধানে নদভী ও তাঁর স্ত্রীর বিরুদ্ধে আনা অভিযোগের প্রমাণ পেয়ে তাঁদের বিরুদ্ধে সংসদ নির্বাচনে রাজনৈতিক দল ও প্রার্থীর আচরণবিধি লঙ্ঘনের প্রমাণ পান।

এরপর গত ১১ জানুয়ারি নির্বাচন কমিশন সচিবালয়ের উপসচিব (আইন) মো. আবদুছ সালাম স্বাক্ষরিত এক চিঠিতে আচরণবিধি লঙ্ঘনের অভিযোগে নদভী ও তাঁর স্ত্রীর বিরুদ্ধে মামলা করার নির্দেশ দেওয়া হয়। এর প্রায় ২৭ দিন পর মামলা হলো। এজাহারে বলা হয়, নথিপত্র পর্যালোচনা করে মামলা করতে কিছুটা দেরি হয়েছে। ৭ জানুয়ারি অনুষ্ঠিত নির্বাচনে নদভী পরাজিত হন। তাঁকে হারিয়ে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন স্বতন্ত্র প্রার্থী এম এ মোতালেব।