Thank you for trying Sticky AMP!!

আ.লীগ সরকারের পতন ঘটিয়ে নির্দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচন হবে: বরকতউল্লা

সাবেক রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের ৮৭তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে কেন্দ্রীয় মৎস্যজীবী দলের উদ্যোগে মৎস্য পোনা অবমুক্তকরণ করা হয়। গতকাল নারায়ণগঞ্জের বন্দর উপজেলার নবীগঞ্জ গুদারাঘাটে শীতলক্ষ্যা নদীতে

আন্দোলনের মাধ্যমে বর্তমান সরকারের পতন ঘটিয়ে বাংলাদেশে নির্দলীয় সরকারের অধীনে আগামী নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান বরকতউল্লা (বুলু)। শনিবার দুপুরে নারায়ণগঞ্জে এক অনুষ্ঠানে যোগ দিয়ে তিনি এ মন্তব্য করেন।

বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমানের ৮৭তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে কেন্দ্রীয় মৎস্যজীবী দলের উদ্যোগে নারায়ণগঞ্জের বন্দর উপজেলার নবীগঞ্জ গুদারাঘাট এলাকায় শীতলক্ষ্যা নদীতে মাছের পোনা অবমুক্তকরণ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। ওই অনুষ্ঠানে কথা বলেন বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান বরকতউল্লা।

বরকতউল্লা বলেন, রাষ্ট্রকাঠামো মেরামতের জন্য ২৭ দফা ও আন্দোলনের ১০ দফা দাবি দিয়েছেন দেশনায়ক তারেক রহমান। কারণ, দেশ আজ ধ্বংস হয়ে গেছে। যদি দেশকে পুনরায় নির্মাণ করতে হয়, তাহলে একটি নিরপেক্ষ নির্দলীয় নির্বাচন দিতে হবে। শেখ হাসিনাকে রাষ্ট্রক্ষমতায় রেখে কোনো নির্বাচন বাংলাদেশে সুষ্ঠু হবে না। তাঁরা দেখেছেন, ২০১৪ ও ২০১৮ সালের নির্বাচন আগের রাতেই হয়ে গেছে। এ সরকারের পতন ঘটিয়ে নির্দলীয় সরকারের অধীনে একটি নির্বাচন হবে এবং সরকার গঠন করা হবে। তারেক রহমানের নির্দেশনা মেনে তাঁরা জাতীয় সরকার গঠন করে এ দেশ মেরামত করবেন।

‘বিএনপি উসকানিমূলক কর্মসূচি করছে’—আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরের এ বক্তব্যের জবাবে বরকতউল্লা বলেন, ‘বিএনপি গত বছরের ২২ আগস্ট থেকে সারা দেশে কর্মসূচি করছে। এসব কর্মসূচিতে বিএনপির ১৫ জন নেতা-কর্মীকে পুলিশ গুলি করে হত্যা করেছে। বিএনপি কোথাও অরাজকতা ও গন্ডগোল করেনি। অথচ শত শত নেতা-কর্মীকে গ্রেপ্তার করেছে। আমরা যেদিন কর্মসূচি করেছি, ওনারা (আওয়ামী লীগ) সেদিন কর্মসূচি ঘোষণা দিয়েছেন। তাঁরা পায়ে পড়ে ঝগড়া করছেন। আমরা ভোটের মাধ্যমে সুষ্ঠুভাবে সরকার গঠনে বিশ্বাসী।’

শীতলক্ষ্যার পানি দূষিত হয়ে গেছে উল্লেখ করে বিএনপির নেতা বরকতউল্লা বলেন, ‘এই পোনাগুলো বাঁচবে কি না আল্লাহ জানে, পানি দূষিত হয়ে গেছে। এ বিষয়ে সরকারের ও প্রশাসনের কোনো নজর নেই। আমরা দাবি জানাব, শীতলক্ষ্যা নদীতে মাছ যেন আগের মতো বাঁচতে পারে এবং পরিবেশ যেন সুন্দর থাকে।’

বিএনপির এই কেন্দ্রীয় নেতা বলেন, ‘আপনারা দেখেছেন এক দিনেই গ্যাসের দাম ১৪ টাকা থেকে ৩০ টাকা হয়ে গেল। বিদ্যুতের চুক্তি করেছেন, যেখানে ক্যাপাসিটি চার্জ ১ লাখ কোটি টাকা দিতে হবে। এই টাকায় বাংলাদেশে পাঁচটি বিদ্যুৎকেন্দ্র স্থাপন করা সম্ভব। এই লুণ্ঠনের বিচার এই দেশের মাটিতে হবে।’

কেন্দ্রীয় মৎস্যজীবী দলের যুগ্ম আহ্বায়ক সেলিম মিয়ার সভাপতিত্বে ও সদস্যসচিব আবদুর রহিমের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানের মৎস্যজীবী দলের যুগ্ম আহ্বায়ক জাকির হোসেন, ওমর ফারুক, জাহাঙ্গীর হোসেন, শাওন হক, হান্নান মল্লিক, জহিরুল ইসলাম, ঢাকা মহানগরের সদস্যসচিব সোহেল রানা, নারায়ণগঞ্জ মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক সাখাওয়াত হোসেন, সদস্যসচিব আবু আল ইউসুফ, জেলা যুবদলের সদস্যসচিব মশিউর রহমান, মহানগর যুবদলের সদস্যসচিব মনিরুল ইসলাম, জেলা মৎস্যজীবী দলের আহ্বায়ক আনোয়ার প্রধান, সদস্যসচিব নাসির জাহান, মহানগর যুবদলের সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক সাগর প্রধান প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।