Thank you for trying Sticky AMP!!

টিসিবির পণ্য বিতরণ না করে মজুত, ডিলারের বিরুদ্ধে মামলা

টিসিবি

বরিশালে টিসিবির একজন ডিলার ও তাঁর সহযোগীর বিরুদ্ধে মামলা করা হয়েছে। টিসিবির পণ্য বিতরণে অনিয়ম ও অবৈধভাবে মজুতের অভিযোগে তাঁদের বিরুদ্ধে ওই মামলা হয়েছে। আজ শনিবার বরিশাল বিমানবন্দর থানায় বিশেষ ক্ষমতা আইনে মামলাটি করেন নগরের ২৯ নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দা সাইফুল ইসলাম।

বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বিমানবন্দর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) হেলালউদ্দিন। তিনি বলেন, মামলায় কাশিপুর বাজারের টিসিবির ডিলার ও মেসার্স চৌধুরী স্টোরের মালিক হুমায়ুন কবির (৪৫) এবং তাঁর সহযোগী নগরের কাউনিয়া ব্রাঞ্চ রোডের শেখ মামুন মিয়াকে (৪২) আসামি করা হয়েছে। তাঁদের মধ্যে মামুনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।

এ বিষয়ে টিসিবির সহকারী পরিচালক শতদল সরকার জানান, গতকাল শুক্রবার রাতে কাশিপুর এলাকার ডিলার পয়েন্টে টিসিবি ও সিটি করপোরেশনের কর্মকর্তারা অভিযান পরিচালনা করেন। এ সময় তাঁরা সুবিধাভোগী ব্যক্তিদের মধ্যে পণ্য বিক্রিতে অনিয়ম ও অবৈধভাবে মজুতের প্রমাণ পান। এ সময় বঞ্চিত সুবিধাভোগী ব্যক্তিরা ক্ষুব্ধ হলে ডিলারের সহযোগী শেখ মামুন মিয়াকে আটক করে বিমানবন্দর থানার পুলিশ। এ সময় ডিলারের গুদাম তালাবদ্ধ করে সব পণ্য স্থানীয় কাউন্সিলরের হেফাজতে রাখা হয়।

মামলার এজাহারে বলা হয়, ডিলার হুমায়ুন কবির টিসিবি থেকে তাঁর প্রতিষ্ঠানের অনুকূলে  ন্যায্যমূল্যের পণ্য সংগ্রহ করেন। কিন্তু ১৭ মার্চ দুপুরে কয়েকজন উপকারভোগী ন্যায্যমূল্যে পণ্য কিনতে ডিলারের ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানে যান। এ সময় মরিয়ম বেগমসহ কয়েকজন উপকারভোগী তাঁদের কার্ড দিলে তা স্ক্যান করে অন্য কেউ পণ্য নিয়ে গেছে বলে জানান ডিলার। এলাকাবাসী প্রতিবাদ করলে ডিলারের সঙ্গে কথা–কাটাকাটি হয়। বিষয়টি টিসিবির সহকারী পরিচালককে জানানোর পর ঘটনাস্থলে পুলিশ গিয়ে ডিলারের দোকান খুলে মজুত পণ্য জব্দ করে।

হিসাব অনুযায়ী ডিলার পয়েন্টে টিসিবির ১৩৪ লিটার সয়াবিন তেল, ১৩৪ কেজি মসুর ডাল, ৬৭ কেজি ছোলা ও ৬৭ কেজি চিনি থাকার কথা। কিন্তু সেখানে টিসিবির ২৪৬ লিটার সয়াবিন তেল, ২২৬ কেজি মসুর ডাল, ১২৯ কেজি ছোলা ও ১০০ কেজি চিনি পাওয়া যায়।

মামলায় আরও উল্লেখ করা হয়, হুমায়ুন কবিরের টিসিবির ডিলার পয়েন্টে মোট সুবিধাভোগী ৬৮৮ জন। ডিজিটাল অ্যাপ অনুযায়ী ৬২১ সুবিধাভোগীকে মালামাল সরবরাহ করেছেন তিনি। সেই হিসাব অনুযায়ী ডিলার পয়েন্টে টিসিবির ১৩৪ লিটার সয়াবিন তেল, ১৩৪ কেজি মসুর ডাল, ৬৭ কেজি ছোলা ও ৬৭ কেজি চিনি থাকার কথা। কিন্তু সেখানে টিসিবির ২৪৬ লিটার সয়াবিন তেল, ২২৬ কেজি মসুর ডাল, ১২৯ কেজি ছোলা ও ১০০ কেজি চিনি পাওয়া যায়। এ ছাড়া তাঁর এক আত্মীয়ের বাসায় সাত লিটার সয়াবিন তেল ও চার কেজি চিনি পাওয়া যায়। যা তিনি আত্মসাৎ করার চেষ্টা করেছেন।

এ বিষয়ে শতদল সরকার বলেন, অভিযুক্ত ডিলারের বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এ ছাড়া জব্দ করা পণ্যগুলো কাউন্সিলরের হেফাজতে রাখা হয়েছে। এ বিষয়ে বরিশাল সিটি করপোরেশনের সঙ্গে আলোচনা করে পরবর্তী সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।