Thank you for trying Sticky AMP!!

চট্টগ্রামের পটিয়ার খানমোহনা সরকারি প্রথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে মিনিটে তিনটি করে ভোট পড়ার কথা জানা গেলেও কেন্দ্রে গিয়ে ভোটারের উপস্থিতি তেমন চোখে পড়েনি। আজ সকাল ১০টায়

পটিয়ার একটি কেন্দ্রে মিনিটে ভোট পড়েছে অন্তত ৩টি

চট্টগ্রাম-১২ (পটিয়া) আসনের ১৩ নম্বর দক্ষিণ ভূর্ষি ইউনিয়নের খানমোহনা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে পাঁচটি বুথ রয়েছে। সকাল ৮টা থেকে ১০টা পর্যন্ত কেন্দ্রটিতে ৪৩৭ জন ভোট দিয়েছেন। অর্থাৎ প্রতি মিনিটে অন্তত ৩ জন ভোট দিয়েছেন।

এ কেন্দ্রে ভোটার আছেন ২ হাজার ২২৫। বেলা ১১টায় সরেজমিনে দেখা গেছে, কেন্দ্রটিতে ১৪ জন পুরুষ ভোটার লাইনে দাঁড়িয়েছেন। নারী ভোটার ছিলেন মাত্র ৪ জন। কেন্দ্রের বাইরে নৌকার প্রার্থীর বেশ কয়েক সমর্থক দাঁড়িয়ে ছিলেন। তবে ১০টা থেকে ১১টা পর্যন্ত কতটি ভোট পড়েছে, তা জানাতে পারেননি প্রিসাইডিং কর্মকর্তা।

কেন্দ্রের পাঁচটি বুথের সব কটিতেই নৌকার প্রার্থী মোতাহেরুল ইসলাম চৌধুরীর পোলিং এজেন্ট ছিলেন। অন্য কোনো প্রার্থীর এজেন্ট পাওয়া যায়নি।

চট্টগ্রামের পটিয়ার খানমোহনা সরকারি প্রথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রের বাইরে ভিড় থাকলেও ভেতরে ছিল ফাঁকা। আজ সকাল ১০ টায়

বিদ্যালয়ের নিচতলার ২ নম্বর বুথে ভোটারতালিকা নিয়ে বসে ছিলেন নৌকার প্রার্থীর এজেন্ট মো. বেলাল হোসেন। পাশে বসা ছিলেন গিয়াস উদ্দিন নামের এক তরুণ। তিনি নিজেকে মো. বেলাল উদ্দিনের সহকারী হিসেবে পরিচয় দেন। বেলাল প্রথম আলোকে বলেন, তিনটি ওয়ার্ডের অনেক ভোটার নিয়ে তাঁরা কাজ করছেন। এ কারণে তাঁকে সহযোগিতা করছেন গিয়াস। তবে তাঁর কাছে কোনো কার্ড নেই।

কেন্দ্রটির প্রিসাইডিং কর্মকর্তা পিন্টু কুমার ঘোষ প্রথম আলোকে বলেন, এভাবে বাইরে কেউ বুথে বসার সুযোগ নেই। তিনি বিষয়টি জানতেন না। খোঁজ নিয়ে দেখছেন।

পটিয়া উপজেলার ১৭টি ইউনিয়ন ও ১টি পৌরসভা নিয়ে চট্টগ্রাম-১২ আসন। ভোটার ৩ লাখ ২৯ হাজার ৪২৮ জন। এবারের নির্বাচনে প্রার্থী হয়েছেন ৯ জন। তবে শেষ পর্যন্ত মূল প্রতিদ্বন্দ্বিতা হচ্ছে আওয়ামী লীগের প্রার্থী মোতাহেরুল ইসলাম চৌধুরীর সঙ্গে জাতীয় সংসদের হুইপ সামশুল হক চৌধুরীর মধ্যে।

পুলিশ সূত্র জানায়, ১০৮টি কেন্দ্রে ভোট গ্রহণ শুরু হয়েছে। এর মধ্যে অন্তত ৪৬টি কেন্দ্র ঝুঁকিপূর্ণ।

১৮ ডিসেম্বর প্রতীক বরাদ্দের পর এ আসনে স্বতন্ত্র প্রার্থী জাতীয় সংসদের হুইপ সামশুল হক চৌধুরীর সমর্থকদের ওপর অন্তত ২২ বার হামলা হয় বলে অভিযোগ ওঠে। সামশুল হক চৌধুরী এসব ঘটনায় নৌকার প্রার্থী মোতাহেরুল ইসলাম চৌধুরীর সমর্থকদের দায়ী করেন। দুই প্রার্থীই পাল্টাপাল্টি সংবাদ সম্মেলন করে একে অন্যের বিরুদ্ধে বিষোদ্‌গার করেছিলেন।

Also Read: খুলশীতে নৌকা–ফুলকপির সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষ, দুজন গুলিবিদ্ধ