Thank you for trying Sticky AMP!!

ছিটকিনি লাগানো ঘরে কাঁদছিল শিশুটি, পাশে পড়ে ছিল মায়ের লাশ, বাবা পলাতক

গাজীপুর জেলার মানচিত্র

গাজীপুর মহানগরীর কোনাবাড়ী দক্ষিণ হরিণাচালা এলাকায় নিজ ঘর থেকে গলায় গামছা প্যাঁচানো অবস্থায় এক নারীর লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। স্থানীয় লোকজনের মাধ্যমে খবর পেয়ে আজ শনিবার সকাল ৮টার দিকে পুলিশ লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠিয়েছে।

মারা যাওয়া নারীর নাম মরিয়ম খাতুন (৩৩)। তিনি দিনাজপুর নবাবগঞ্জের হরিপুর গ্রামের শফিজ উদ্দিনের মেয়ে। তাঁর স্বামী জয়নালের সঙ্গে কোনাবাড়ী দক্ষিণ হরিণাচালা এলাকায় স্থানীয় ইকবালের বাড়িতে ভাড়া থাকতেন। গতকাল শুক্রবার রাতের কোনো এক সময় মরিয়মকে শ্বাসরোধে হত্যা করে স্বামী জয়নাল পালিয়েছে বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করছে পুলিশ।

পুলিশ ও এলাকাবাসীর সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, ইকবাল একটি বাস কোম্পানির সুপারভাইজার হিসেবে কাজ করে। গতকাল রাত ১০টায় তিনি বাসায় ফেরেন। এরপর পরিবারের সবাই দরজা লাগিয়ে ঘুমিয়ে পড়েন। আজ শনিবার সকাল ৭টার দিকে পাশের কক্ষের ভাড়াটিয়া করুণা বেগম মরিয়মের চার বছরের মেয়ের কান্না ও ডাকাডাকির শব্দ শুনতে পান। তিনি এগিয়ে এসে দেখেন মরিয়মদের কক্ষের দরজা বাইরে থেকে ছিটকিনি লাগানো। পরে দরজা খুলে দেখেন গলায় গামছা প্যাঁচানো অবস্থায় মেঝেতে মরিয়ম পড়ে আছেন। পরে বাসার লোকজন জাতীয় জরুরি সেবা নম্বরে (৯৯৯) ফোন করে পুলিশে খবর দেন।

গাজীপুর মহানগরের কোনাবাড়ী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কে এম আশরাফ উদ্দিন বলেন, খবর পেয়ে লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। ধারণা করা হচ্ছে মরিয়মের স্বামী গলায় গামছা পেঁচিয়ে শ্বাসরোধ করে হত্যা করে পালিয়েছেন। লাশটি ময়নাতদন্তের জন্য গাজীপুর শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। এ বিষয়ে আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন।