Thank you for trying Sticky AMP!!

আবদুল লতিফ

রাজশাহী কেন্দ্রীয় কারাগারে জামায়াত নেতার মৃত্যু

রাজশাহী কেন্দ্রীয় কারাগারে জামায়াতে ইসলামীর এক নেতা মারা গেছেন। আজ শনিবার সকাল ৭টা ৪০ মিনিটের দিকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে তিনি মারা যান।

জামায়াতের ওই নেতার নাম আবদুল লতিফ (৬৬)। তিনি পবা উপজেলার হরিপুর এলাকার বাহার আলীর ছেলে। তিনি রাজশাহী নগরের দামকুড়া থানা জামায়াতের আমির ছিলেন।

রাজশাহী কেন্দ্রীয় কারাগার সূত্রে জানা গেছে, নাশকতা ও বিস্ফোরক মামলায় ১৮ ডিসেম্বর থেকে আবদুল লতিফ কেন্দ্রীয় কারাগারে ছিলেন। সেখানে গতকাল অসুস্থ হয়ে পড়লে তাঁকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। পরে আজ সকালে তিনি মারা যান।

এ বিষয়ে রাজশাহী কেন্দ্রীয় কারাগারের সিনিয়র জেল সুপার মো. আবদুল জলিলের সঙ্গে কথা বলা সম্ভব হয়নি। তবে কারাগারে অন্য একজন কর্মকর্তা নাম না প্রকাশ করার শর্তে প্রথম আলোকে বলেন, শুক্রবার অসুস্থ হয়ে পড়লে আবদুল লতিফকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। পরে আজ সকালে সেখানে তিনি চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান। মৃত্যু সনদে উচ্চ রক্তচাপে মৃত্যুর কারণ উল্লেখ করা আছে। বিকেলে পরিবারের কাছে মরদেহ আইনি প্রক্রিয়া শেষে হস্তান্তর করা হয়েছে।

নেতার মৃত্যু শোক প্রকাশ করে মহানগর জামায়াতে ইসলামীর প্রচার সহকারী মো. আফজাল হোসেন গণমাধ্যমে বিজ্ঞপ্তি পাঠিয়েছেন। এতে অভিযোগ করা হয়, আবদুল লতিফকে পরোয়ানায় মসজিদে নামাজ আদায় শেষে বের হওয়ার সময় আটক করে পুলিশ। এরপর বিশেষ ক্ষমতা আইন ও বিস্ফোরক মামলায় দামকুড়া থানায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে ১৮ ডিসেম্বর কারাগারে পাঠানো হয়। কারাগারে যাওয়ার পর থেকে ধারণক্ষমতার অতিরিক্ত হাজতি থাকায় তিনি অসুস্থ হয়ে পড়েন। এতটা অসুস্থ হয়ে পড়েন যে বিছানায় প্রস্রাব-পায়খানা করতেন। এরপরও তাঁর সুচিকিৎসার ব্যবস্থা করা হয়নি।

নওগাঁর এক হাজতির মৃত্যু

এদিকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নওগাঁ কারাগারের এক যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত আসামি মারা গেছেন। আজ শনিবার সকাল সাড়ে সাতটার দিকে তিনি মারা যান। তাঁর নাম আজিজুল হক (৯০)। নওগাঁ জেলা কারাগারের জেলার মোহাম্মদ এনায়েত উল্ল্যাহ বলেন, গতকাল শুক্রবার অসুস্থ হয়ে পড়লে আজিজুল হককে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য আনা হয়। পরে আজ সকালে তিনি মারা গেছেন। আইনি প্রক্রিয়া শেষে মরদেহ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।