Thank you for trying Sticky AMP!!

যশোরে কুপিয়ে দুই পা বিচ্ছিন্ন করে দেওয়া ব্যবসায়ী নেতা আবদুল মালেক চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছেন। হামলার পর হাসপাতালে নেওয়ার পর তোলা

যশোরে কুপিয়ে দুই পা বিচ্ছিন্ন করে দেওয়া ব্যবসায়ী নেতার মৃত্যু

যশোরে কুপিয়ে দুই পা বিচ্ছিন্ন করে দেওয়া প্লট ব্যবসায়ী সমিতির নেতা ও মাদ্রাসাশিক্ষক আবদুল মালেক মারা গেছেন। ২০ দিন চিকিৎসাধীন থাকার পর আজ বুধবার দুপুরে ঢাকার জাতীয় অর্থোপেডিক হাসপাতাল ও পুনর্বাসন প্রতিষ্ঠানে (পঙ্গু হাসপাতাল) মারা যান তিনি।

থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবদুর রাজ্জাক প্রথম আলোকে বলেন, হামলার শিকার প্লট ব্যবসায়ী সমিতির নেতা আবদুল মালেক ঢাকায় চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছেন। হামলার ঘটনায় ইতিমধ্যে একজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। অন্যদের গ্রেপ্তারে পুলিশ তৎপর।

গত ২৯ ডিসেম্বর রাতে আবদুল মালেককে সন্ত্রাসীরা তুলে নিয়ে কুপিয়ে দুই পা প্রায় বিচ্ছিন্ন করে দেয়। এরপর যশোর জেনারেল হাসপাতাল হয়ে জাতীয় অর্থোপেডিক হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিলেন তিনি। আবদুল মালেক যশোর প্লট ব্যবসায়ী সমিতির কোষাধ্যক্ষ এবং উপশহর আলিয়া মাদ্রাসার শিক্ষক ছিলেন। ৩০ ডিসেম্বর যশোর কোতোয়ালি মডেল থানায় একটি মামলা করেন মালেকের ছেলে মো. আমান উল্লাহ।

সমিতি ও স্বজনদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, নিহত মালেকের কাছে প্রায়ই চাঁদা চাইত স্থানীয় সন্ত্রাসীরা। চাঁদা না দেওয়ায় মালেকের প্লট ব্যবসা করা জমিতে বসে মাদক সেবন করত তারা। একই সঙ্গে স্থানীয় লোকজনকে বিরক্ত করত সন্ত্রাসীরা। এ ঘটনায় সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে একটি মামলা করেন আবদুল মালেক।

স্বজনেরা জানান, সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে মামলা করায় স্থানীয় সন্ত্রাসী মামুনের নেতৃত্বে ৭-৮ জন আবদুল মালেককে আরবপুর দীঘিরপাড়া মসজিদের সামনে থেকে তুলে নিয়ে দুই পা কুপিয়ে শরীর থেকে প্রায় বিচ্ছিন্ন করে দেয়। তাঁকে উদ্ধার করে প্রথমে যশোর জেনারেল হাসপাতালে নেওয়া হয়। অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় তাঁকে রাজধানীর জাতীয় অর্থোপেডিক হাসপাতাল ও পুনর্বাসন প্রতিষ্ঠানে (পঙ্গু হাসপাতাল) ভর্তি করা হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় আজ দুপুরের দিকে তিনি মারা যান।