Thank you for trying Sticky AMP!!

বাড়ি থেকে তরুণকে ডেকে নিয়ে হত্যার ঘটনায় বন্ধু গ্রেপ্তার

গ্রেপ্তার

যশোরের ঝিকরগাছা উপজেলায় মুঠোফোনে তরুণকে ডেকে নিয়ে হত্যার ঘটনায়  তাঁর বন্ধুকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই)। আজ রোববার সকালে ভোলার দৌলতখান উপজেলার আত্মীয় বাড়ি থেকে তাঁকে প্রেপ্তার করা হয়।

গ্রেপ্তার ব্যক্তির নাম বাবু মোড়ল ওরফে কেসমত ওরফে ক্যাসেট বাবু (৩০)। তিনি যশোরের ঝিকরগাছা উপজেলার কাটাখাল গ্রামের কাসেম মোড়লের ছেলে। নিহত তরুণ তৌফিক হাসান (২২) ঝিকরগাছা উপজেলার কৃষ্ণনগর কারিগর পাড়ার শাহাদৎ হোসেনের ছেলে। তৌফিক স্থানীয় আফিল ফার্ম নামে একটি মুরগির খামারে চাকরি করতেন। তৌফিক গ্রেপ্তার হওয়া বাবু মোড়লের বন্ধু ছিলেন।

স্বজন ও পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, তৌফিক প্রতিদিনের মতো গত শনিবার সকালে কর্মস্থলে যাচ্ছিলেন। এ সময় তাঁর বন্ধু কাটাখাল এলাকার বাসিন্দা বাবু মোড়লের মুঠোফোনে ডাক পেয়ে তাঁর বাড়িতে যান। সেই বাড়িতেই তৌফিক ছুরিকাহত হন। পরে গুরুতর আহত অবস্থায় তাঁকে ঝিকরগাছা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়া হয়। অবস্থার অবনতি হলে চিকিৎসকেরা তাঁকে যশোর জেনারেল হাসপাতালে পাঠান। হাসপাতালে নেওয়ার কিছুক্ষণের মধ্যে মারা যান তৌফিক। ঘটনার পর থেকে বাবু মোড়ল গা ঢাকা দেন।

নিহত তৌফিকের বাবা শাহদাৎ হোসেন বাদী হয়ে শনিবার রাতে বাবু মোড়ল ও তাঁর স্ত্রী রিয়া খাতুনকে আসামি করে ঝিকরগাছা থানায় একটি হত্যা মামলা করেন। মামলায় এজাহারভুক্ত আসামি বাবু মোড়লকে রোববার সকালে পিবিআইয়ের সদস্যরা গ্রেপ্তার করে।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে পিবিআই যশোরের পুলিশ সুপার রেশমা শারমিন বলেন, ‘হত্যাকাণ্ডের পর পরই আমরা ছায়া তদন্ত শুরু করি। তদন্তে জানতে পারি, হত্যাকাণ্ডে জড়িত থাকা বাবু মোড়ল গতকাল রাত নয়টায় তাঁর খালাবাড়ি ভোলার দৌলতখান উপজেলায় গিয়ে আত্মগোপন করেছেন। পরে ভোলা জেলা পুলিশের সহায়তায় পিবিআই তাঁকে গ্রেপ্তার করে।’

হত্যাকাণ্ডের কারণ জানতে চাইলে পুলিশ সুপার রেশমা শারমিন বলেন, ‘গ্রেপ্তার বাবু মোড়ল প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে জানিয়েছেন, নিহত তৌফিক তাঁর ঘনিষ্ঠ বন্ধু। সেই সুবাদে উভয়ের বাড়িতে উভয়ের যাতায়াত ছিল। বাবুর স্ত্রীর সঙ্গে তৌফিকের পরকীয়া ছিল বলে সন্দেহ ছিল তাঁর (বাবুর)।

এ জন্য শনিবার সকালে মুঠোফোনে তৌফিককে ডেকে বাড়িতে নিয়ে যায় বাবু। তখন কথা–কাটাকাটির একপর্যায়ে বাবু তাঁর বন্ধু তৌফিকের পেটে ছুরি মেরে পালিয়ে যান। পরে যখন জানতে পারেন তৌফিক মারা গেছেন, তখন তিনি আর বাড়িতে না ফিরে ভোলায় তাঁর আত্মীয়ের বাড়িতে চলে যান।’