Thank you for trying Sticky AMP!!

‘এখন কেন এত টাকা ভাড়া বাড়ানো হলো?’

বর্ধিত ভাড়া নিয়ে ক্ষুব্ধ খাদিজা বেগম

বাসের টিকিট কাউন্টারের সামনে দাঁড়িয়ে ছিলেন খাদিজা বেগম (৩৫) নামের এক নারী। তাঁর সঙ্গে সাত বছরের ছেলে। কাউন্টারের সামনে দাঁড়িয়ে টিকিট বিক্রেতার সঙ্গে বাড়তি ভাড়া নিয়ে বাগ্‌বিতণ্ডায় জড়ান তিনি। আজ রোববার সকালে সিলেটের দক্ষিণ সুরমার কদমতলী বাসস্ট্যান্ডে হবিগঞ্জগামী বাসের কাউন্টারে দেখা গেল এমন চিত্র।

খাদিজা বেগম সিলেট থেকে হবিগঞ্জ শহরে যাওয়ার জন্য টিকিট কাটতে চাচ্ছিলেন। এ সময় বর্ধিত ভাড়ায় জনপ্রতি ২২০ টাকা করে ৪৪০ টাকা চাচ্ছিলেন টিকিট বিক্রেতা। ভাড়া বৃদ্ধির খবর শুনে তিনি বলেন, পাঁচ দিন আগেও ৩৬০ টাকা ভাড়ায় মা-ছেলে হবিগঞ্জ থেকে এসেছেন। এখন কেন এত টাকা বাড়ানো হলো, সেই প্রশ্ন তাঁর।

খাদিজা বেগমকে টিকিট বিক্রেতা ফজলুর রহমান বলেন, গতকাল শনিবার পর্যন্ত ভাড়া আগের মতোই ছিল। জ্বালানি তেলের দাম বৃদ্ধির কারণে আজ সকাল থেকে বাসভাড়া বাড়ানো হয়েছে। তবে তিনি মানতে নারাজ, এক রাতে এত টাকা ভাড়া বাড়ল!

একপর্যায়ে ফজলুর রহমানের সঙ্গে যোগ দেন বাসচালকের সহকারী শাহ আলম। তিনি বলতে থাকেন, সারা দেশে ভাড়া বাড়ানো হয়েছে, শুধু হবিগঞ্জে নয়। এখন বর্ধিত দামে টিকিট না কাটলে তাঁদের কিছুই করার নেই বলে জানান ফজলুর রহমান। পরে খাদিজা বর্ধিত দামেই টিকিট কেটে বাসে ওঠেন।

টিকিট বিক্রেতা ফজলুর রহমান বলেন, শুধু খাদিজা বেগম নন, আরও কয়েকজন যাত্রীর সঙ্গে আজ সকাল থেকে তাঁদের বাগ্‌বিতণ্ডা হয়েছে। ভাড়া বৃদ্ধির কারণে এই অবস্থা আরও কয়েক দিন চলতে পারে বলে তিনি মনে করেন। ভাড়ার নতুন তালিকা টাঙানো হলে পরিস্থিতির উন্নতি হবে বলে তাঁর ধারণা।

সিলেট জেলা সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক শাহ মো. জিয়াউল কবির বলেন, ‘জ্বালানি তেলের মূল্যবৃদ্ধির কারণে ভাড়া বেড়েছে। বিষয়টি যাতে যাত্রীদের বুঝিয়ে বলা হয়, সে জন্য কাউন্টারে থাকা সুপারভাইজারদের বলেছি।’