Thank you for trying Sticky AMP!!

কালিয়ায় জনপ্রতিনিধির বিরুদ্ধে সাংবাদিককে হাত-পা ভেঙে দেওয়ার হুমকির অভিযোগ

আমানত ইসলাম

নড়াইলের কালিয়া উপজেলার এক জনপ্রতিনিধির বিরুদ্ধে সাংবাদিককে অশ্লীল ভাষায় গালিগালাজ ও তাঁর হাত-পা ভেঙে দেওয়ার হুমকির অভিযোগ পাওয়া গেছে। ওই সাংবাদিক কালিয়ার নড়াগাতী থানায় গত শুক্রবার এ বিষয়ে সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেন।

ওই সাংবাদিকের নাম আমানত ইসলাম ওরফে পারভেজ (৩০)। তিনি এশিয়ান টেলিভিশনের কালিয়ায় উপজেলা প্রতিনিধি হিসেবে কর্মরত। তিনি একই থানার বাঐসোনা ইউনিয়নের চর ডুমুরিয়া গ্রামের মো. ফেলু শেখের ছেলে। অভিযুক্ত জনপ্রতিনিধি হলেন মো. রাসেল শেখ (৩৮)। তিনি বাঐসোনা ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) ৯ নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য ও উত্তর ডুমুরিয়া গ্রামের বাসিন্দা।

এ বিষয়ে আজ রোববার দুপুরে নড়াগাতী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মোস্তাফিজুর রহমান প্রথম আলোকে বলেন, গত শুক্রবার বিকেলে থানায় জিডি করা হয়েছে। এ বিষয়ে তদন্ত করতে আদালতের অনুমতি চাওয়া হয়েছে। অনুমতি পেলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

সাংবাদিক আমানত ইসলাম জিডিতে উল্লেখ করেছেন, গত শুক্রবার বিকেলে এক নির্যাতিত নারীর বিষয়ে সংবাদ সংগ্রহ করতে নড়াগাতী থানার সামনে যান তিনি (আমানত)। সেখানে ইউপি সদস্য রাসেল শেখ ওই নারীর বিষয়ে সংবাদ সংগ্রহ করতে নিষেধ করে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করতে থাকেন। সেই সঙ্গে তাঁর হাত-পা ভেঙে দেওয়ার হুমকি দেন। একপর্যায়ে তাঁর ক্যামেরা কেড়ে নেওয়ার চেষ্টা করেন তিনি। তাঁর চিৎকারে আশপাশের লোকজন ছুটে এলে প্রাণনাশের হুমকি দিয়ে রাসেল শেখ চলে যান।

এ ঘটনার ৫ মিনিট ১ সেকেন্ডের একটি ভিডিও এই প্রতিনিধির কাছে আছে। ভিডিওতে ইউপি সদস্য রাসেল শেখকে অশ্লীল ভাষায় গালাগাল করতে দেখা যায়। একপর্যায়ে সাংবাদিককে তিনি বলছেন, ‘তোর হাত-পা ভাঙ্গেই ফেলবানি দেহিসকেনে। তোরে মজা বুঝাবানি।’

এ বিষয়ে জানতে চাইলে মুঠোফোনে ইউপি সদস্য রাসেল শেখ প্রথম আলোকে বলেন, ‘তাঁর (সাংবাদিকের) সঙ্গে শুধু কথা-কাটাকাটি হয়েছে।’ এ বিষয়ে আর কোনো কথা বলতে রাজি হননি তিনি।

সাংবাদিক আমানত ইসলাম বলেন, ‘ওই নারীর ফোন পেয়ে নড়াগাতী থানার সামনে যাই। সেখানেই ছিলেন রাসেল শেখ। সেখানে তিনি ওই ব্যবহার করেন। এর আগে ওই নারীর বিষয়ে আমি কিছুই জানতাম না। আমি একজন কৃষি উদ্যোক্তা। পাশাপাশি সাংবাদিকতা করি। আমি আতঙ্কে ভুগছি, যেকোনো সময়ে আমার ওপর হামলা হতে পারে।’