Thank you for trying Sticky AMP!!

প্রতারণার পর নকল সোনার বার না দিয়েই পালাচ্ছিলেন তাঁরা

প্রতারণা

নকল সোনার বার দেখিয়ে তাঁরা দুজন জানিয়েছিলেন, এটি খাঁটি সোনা। ওই সোনার বার দেওয়ার কথা বলে তাঁরা এক নারীর কাছ থেকে কৌশলে সোনার চেইন ও টাকা নিয়েছিলেন। পরে বারটি না দিয়েই তাঁরা পালিয়ে যাচ্ছিলেন। তখন ওই নারীর চিৎকার শুনে আশপাশের লোকজন ওই দুজনকে আটক করে। পরে তাঁদের পুলিশে দেওয়া হয়।  

ঘটনাটি ঘটেছে গতকাল সোমবার সন্ধ্যায় বগুড়ার শেরপুর উপজেলার বিশালপুর ইউনিয়নের হঠাৎপাড়া সড়ক এলাকায়। এ ঘটনায় ভুক্তভোগীর স্বজন বাদী হয়ে ওই দুজনের বিরুদ্ধে প্রতারণার অভিযোগে শেরপুর থানায় মামলা করেছেন।  

গ্রেপ্তার দুজন হলেন গাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জের উলিপুর গ্রামের সেলিম মিয়া (৩০) ও সুন্দরগঞ্জ উপজেলার উত্তর রাজিবপুর গ্রামের মমিনুল ইসলাম (৩৫)।

ভুক্তভোগী নারীর নাম বাছা বেওয়া (৬০)। তাঁর নাতি উপজেলার উদগ্রামের কাউছার আহমেদ বাদী হয়ে মামলাটি করেছেন। এজাহার সূত্রে জানা যায়, বাছা বেওয়া (৬০) গতকাল বিকেলে উপজেলার রানীরহাটের রূপালী বাজার থেকে গোয়ালবিশ্ব গ্রামে যাওয়ার জন্য একটি সিএনজিচালিত অটোরিকশা গাড়িতে ওঠেন। সেলিম মিয়া অটোরিকশা চালাচ্ছিলেন। তাঁর পেছনে যাত্রী হিসেবে ছিলেন মমিনুল ইসলাম। অটোরিকশায় করে যাওয়ার সময় বাছা বেওয়াকে একটি সোনার বার দেখান মমিনুল। জানান, এর দাম তিন-চার লাখ টাকা। মাটি খোঁড়াখুঁড়ি করে এটি তাঁরা পেয়েছেন। এই বার প্রকাশ্য বিক্রি করতে তাঁরা ভয় পাচ্ছেন। একপর্যায়ে তাঁরা বাছা বেওয়ার গলার সোনার চেইন ও কিছু টাকার বিনিময়ে সোনার বারটি দেওয়া প্রস্তাব দেন। তখন বাছা বেওয়া তাঁর সোনার চেইন ও পাঁচ হাজার টাকা দেন। এরপর ওই দুজন সোনার বারটি না দিয়েই বিশালপুর ইউনিয়নের হঠাৎপাড়া এলাকায় অটোরিকশা থেকে বাছ বেওয়াকে নামিয়ে দেন। ওই নারীর চিৎকার শুনে আশপাশের লোকজন এগিয়ে আসেন এবং দুজনকে আটক করেন। পরে তাঁদের পুলিশ সোপর্দ করা হয়।

শেরপুর থানার উপপরিদর্শক (এসআই) সাঈফ আহমেদ জানান, ওই দুজনের কাছ থেকে একটি নকল সোনার বার, ওই নারীর  সোনার একটি চেইন, সিটি গোল্ডের বালা ও টাকা উদ্ধার করা হয়েছে। সেলিম মিয়ার নামে নওগাঁর বদলগাছি থানায় প্রতারণার অভিযোগে দুটি মামলা রয়েছে। তাঁরা সোনার বার দেখিয়ে প্রতারণার মাধ্যমে লোকজনের কাছ থেকে টাকা হাতিয়ে নেন বলে স্বীকার করেছেন।