Thank you for trying Sticky AMP!!

দিনাজপুরে বিএনপির সমাবেশের স্থান বদলে দিল প্রশাসন

রোডমার্চ শেষে দিনাজপুর শহরের বটতলী এলাকায় ট্রাক টার্মিনাল মাঠে হবে বিএনপির সমাবেশ। চলছে প্রস্তুতি। আজ শনিবার দুপুর ১২টায়

‘তারুণ্যের রোডমার্চ’ শেষে বিএনপির সমাবেশ অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা ছিল দিনাজপুর শহরের গোর-এ-শহীদ ময়দানে। পুলিশ প্রশাসন ও জেলা প্রশাসন সম্মতিও দিয়েছিল। তবে গতকাল শুক্রবার রাত ১০টায় জেলা প্রশাসন নির্ধারিত মাঠে বিএনপির কর্মসূচি পালনে নিষেধাজ্ঞা জারি করে সমাবেশের জায়গা বদলে শহরের বটতলী এলাকায় ট্রাক টার্মিনাল মাঠ নির্ধারণ করে দেয়। আজ শনিবার বেলা ১১টার দিকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক বখতিয়ার আহমেদ।

Also Read: রংপুর থেকে দিনাজপুর অভিমুখে বিএনপির বিভাগীয় রোডমার্চ শুরু দুপুরে, মিছিলে মুখর নগর

আজ রংপুর থেকে দিনাজপুর অভিমুখে ‘রোডমার্চ কর্মসূচি’ শুরু করেছে বিএনপি। বিএনপির সহযোগী সংগঠন ছাত্রদল, যুবদল ও স্বেচ্ছাসেবক দল এই কর্মসূচির আয়োজন করেছে। আয়োজকেরা জানিয়েছেন, প্রায় ৪০ হাজার মোটরসাইকেল, পিকআপ, মাইক্রোবাসে লক্ষাধিক নেতা-কর্মী রোডমার্চে অংশ নিয়ে সমাবেশে উপস্থিত হবেন। সকাল থেকে ট্রাক টার্মিনাল মাঠে মঞ্চ প্রস্তুতির কাজ শুরু হয়েছে। স্থানীয় নেতা-কর্মীরা মাঠে জড়ো হয়ে ব্যানার–ফেস্টুন টানানোর কাজ করছেন। এখান থেকে দশমাইল এলাকায় গিয়ে সেখান থেকে রোডমার্চের বহরের সঙ্গে সমাবেশস্থলে আসবেন নেতা-কর্মীরা।

রোডমার্চের বহর সৈয়দপুর, রানীরবন্দর, দশমাইল হয়ে দিনাজপুরে প্রবেশ করবে। এতে অংশ নিয়েছেন দলটির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম, যুবদলের কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি সুলতান সালাহউদ্দিন প্রমুখ।

Also Read: তারুণ্যের রোডমার্চ শেষে আসছে বিএনপির কর্মসূচি

সমাবেশের জায়গা পরিবর্তনের বিষয়ে জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক বখতিয়ার আহমেদ বলেন, সমাবেশে লক্ষাধিক মানুষ উপস্থিত হবে। মানুষের যেন দুর্ভোগ না হয়, বিষয়টি বিবেচনায় নিয়ে তাঁরা গোর-এ শহীদ ময়দানে সমাবেশের জায়গা নির্ধারণ করেছিলেন। গতকাল ১০টায় হঠাৎ ফোনে প্রশাসন থেকে জানানো হয়, মাঠে কর্মসূচি করতে হলে সেনাবাহিনীর অনুমতি লাগবে। অথচ মাঠে মেলা থেকে শুরু করে অন্যান্য দল ঠিকই কর্মসূচি পালন করছে। যত বাধা হচ্ছে বিএনপির বেলায়।

মাঠ ব্যবহারে নিষেধাজ্ঞার বিষয়ে জেলা পুলিশ সুপার শাহ ইফতেখার আহমেদ বলেন, ওই মাঠ সেনাবাহিনীর। তাদের মাঠ ব্যবহারে স্পষ্ট বলা হয়েছে, সামাজিক–সাংস্কৃতিক কাজে মাঠ ব্যবহার করা যাবে; তবে রাজনৈতিক কোনো কর্মসূচি করতে পারবে না। সুতরাং রাজনৈতিক কাজে মাঠ ব্যবহারের অনুমতি তাঁরা দিতে পারেন না।