Thank you for trying Sticky AMP!!

কক্সবাজারে পৃথক হত্যা মামলায় ৩ আসামির আমৃত্যু কারাদণ্ড

কক্সবাজারে পৃথক দুটি হত্যা মামলার রায়ে তিন আসামিকে আমৃত্যু কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। আজ বুধবার বিকেলে কক্সবাজার জেলা ও দায়রা জজ মোহাম্মদ ইসলাম এ রায় দেন। আদালতের সরকারি কৌঁসুলি (পিপি) ফরিদুল আলম বিষয়টি প্রথম আলোকে নিশ্চিত করেছেন।

দণ্ডপ্রাপ্ত তিন আসামি হলেন নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁও উপজেলার জামপুর ইউনিয়নের আবদুস সালামের ছেলে পারভেজ হোসেন ওরফে বাবু (৩৬) ও একই উপজেলার বাবদি ইউনিয়নের আবদুর রবের ছেলে মো. মোতালেব (৩৫) এবং কক্সবাজারের উখিয়ার রত্নাপালং ইউনিয়নের কোর্টবাজারের ছৈয়দ হোসেন (৪৫)। রায় ঘোষণার সময় তিনজন আসামি আদালতে উপস্থিত ছিলেন।

সরকারি কৌঁসুলি ফরিদুল আলম বলেন, রায় ঘোষণার পর বিকেলে আসামিদের জেলা কারাগারে পাঠানো হয়। এ রায়ের ফলে আসামিরা যত দিন বেঁচে থাকবেন, তত দিন তাঁদের কারাদণ্ড ভোগ করতে হবে।

হোটেলকক্ষে খুন
২০২১ সালে ইয়াবা লেনদেন নিয়ে বিরোধের জেরে শহরের কলাতলী হোটেল-মোটেল জোনের সুইট হোম রিসোর্টের কক্ষে আবদুল মালেক (২৪) নামের এক তরুণকে হত্যা করা হয়। এই হত্যা মামলায় পারভেজ হোসেন ও মো. মোতালেবকে আমৃত্যু কারাদণ্ড এবং ৫০ হাজার টাকা করে জরিমানা করেন আদালত। আবদুল মালেক কক্সবাজার শহরের বাদশার ঘোনার জাকের হোসেনের ছেলে।

আদালত ও মামলা সূত্রে জানা গেছে, ২০২১ সালে কারাগারে পরিচয়ের মাধ্যমে মালেকের সঙ্গে পারভেজ ও মোতালেবের বন্ধুত্ব হয়। পরে তাঁরা নিজেদের মধ্যে ইয়াবা লেনদেন শুরু করেন। তবে ইয়াবা লেনদেনের একপর্যায়ে মালেকের সঙ্গে পারভেজ ও মোতালেবের বিরোধের সৃষ্টি হয়। বিরোধের জেরে একই বছরের ১৫ মার্চ রাতে সুইট হোম রিসোর্টে ডেকে নিয়ে মালেককে হত্যা করে লাশ খাটের নিচে লুকিয়ে পালিয়ে যান পারভেজ ও মোতালেব। এ ঘটনায় নিহত মালেকের ভাই আবদুল খালেক বাদী হয়ে কক্সবাজার সদর মডেল থানায় হত্যা মামলা করলে পুলিশ পারভেজ ও মোতালেবকে গ্রেপ্তার করে।

স্ত্রী হত্যায় স্বামীর কারাদণ্ড  
উখিয়ার আলোচিত মনজুরা বেগম হত্যা মামলায় তাঁর স্বামী ছৈয়দ হোসেনকে আমৃত্যু কারাদণ্ড দিয়েছেন জেলা ও দায়রা জজ মোহাম্মদ ইসমাইল। দণ্ডপ্রাপ্ত ছৈয়দ হোসেনের বাড়ি উখিয়ার রত্নাপালং ইউনিয়নের কোটবাজারে।

মামলা ও আদালত সূত্রে জানা গেছে, ২০১৭ সালের ১ জুন দুপুরে মনজুরা বেগমকে শ্বশুরবাড়ি থেকে নিজের বাড়িতে ডেকে আনেন ছৈয়দ হোসেন। এরপর যৌতুকের টাকার দাবিতে মারধরের একপর্যায়ে ধারালো অস্ত্র দিয়ে মনজুরা বেগমকে স্বামী ছৈয়দ হোসেন কুপিয়ে হত্যা করেন। পরে এ ঘটনায় ছৈয়দ হোসেনকে একমাত্র আসামি করে উখিয়া থানায় হত্যা মামলা করেন মনজুরার বাবা।