Thank you for trying Sticky AMP!!

মুন্সিগঞ্জে গুলিতে নিহত যুবদল কর্মী শাওনের বাড়িতে বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী। শুক্রবার রাত নয়টার দিকে নুরমা জামে মসজিদ ঈদগাহ মাঠ এলাকায়

মুন্সিগঞ্জে গুলিতে নিহত যুবদল কর্মী শাওনের লাশ দাফন

মুন্সিগঞ্জ সদর উপজেলায় পুলিশ-বিএনপি সংঘর্ষে গুলিবিদ্ধ হয়ে নিহত যুবদল কর্মী শাওন ভূঁইয়ার লাশ দাফন করা হয়েছে। শুক্রবার রাত ১০টার দিকে সদর উপজেলার নুরমা জামে মসজিদ ঈদগাহ মাঠে জানাজা শেষে সামাজিক কবরস্থানে তাঁর লাশ দাফন করা হয়।

এর আগে সন্ধ্যা পৌনে ছয়টার দিকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ময়নাতদন্ত শেষে ফ্রিজিং গাড়িতে করে শাওনের লাশ রাজধানীর নয়াপল্টনে বিএনপি কার্যালয়ে আনা হয়। সেখানে আগে থেকেই হাজারো নেতা-কর্মী অবস্থান করছিলেন। দলটির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে সন্ধ্যা সোয়া ছয়টার দিকে শাওন ভূঁইয়ার প্রথম জানাজা অনুষ্ঠিত হয়। পরে বিএনপি ও এর সহযোগী সংগঠনের নেতা-কর্মীরা ফুল দিয়ে তাঁর প্রতি শ্রদ্ধা জানান। সন্ধ্যা সাড়ে ছয়টার দিকে শাওনের লাশবাহী ফ্রিজিং গাড়িটি মুন্সিগঞ্জের উদ্দেশে রওনা হয়। রাত পৌনে নয়টার দিকে মুন্সিগঞ্জে গ্রামের বাড়িতে আনা হয় লাশটি।

স্থানীয় বিএনপির নেতা–কর্মীরা বলেন, হামলা ও গ্রেপ্তার–আতঙ্কে শাওনের গ্রামের বাড়ির জানাজায় জেলা ও উপজেলা পর্যায়ের উল্লেখযোগ্য কোনো নেতা উপস্থিত হননি। তবে মিরকাদিম পৌর এলাকার মানুষ জানাজায় উপস্থিত ছিলেন। জানাজার আগে রাত সোয়া নয়টার দিকে শাওনের বাড়িতে পরিবারের সদস্যদের সান্ত্বনা দিতে আসেন দলটির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী।

মুন্সিগঞ্জ সদর উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক মহিউদ্দিন আহমেদ প্রথম আলোকে বলেন, ‘আমাদের অসংখ্য নেতা-কর্মীদের নামে দুটি মিথ্যা মামলা করা হয়েছে। ঘটনার সময় ছিলেন না, মৃত ও বিদেশে আছেন—এমন ব্যক্তিদের বিরুদ্ধেও মামলা হয়েছে। ভয়ে আমরা শাওনের জানাজায় অংশ নিতে পারিনি।’

নিহত শাওনের শ্বশুর শহীদ মৃধা বলেন, ‘সকাল থেকে আমরা শাওনের বাড়ির সামনে রাস্তায় বসেছিলাম। ভেবেছিলাম দুপুরে বিএনপি কার্যালয় জানাজা শেষে লাশ গ্রামের বাড়িতে চলে আসবে। দুপুরের শুনতে পেলাম জানাজা বিকেলে হবে। এভাবে বিকেল গড়িয়ে সন্ধ্যা রাত হয়ে গেল। তারপরে লাশ গ্রামের বাড়িতে এল। তা–ও আবার তড়িঘড়ি করে মাটি হলো। এ কারণে দূরদূরান্তের মানুষ জানাজায় অংশ নিতে পারেননি।’

শাওনের ফুফু জোহরা বেগম বলেন, তাঁরা গরিব মানুষ। তাঁদের মতো গরিবের সংসার চলে না। তার ওপরে দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি। এর প্রতিবাদ করায়, শাওনকে গুলি করে হত্যা করা হলো। তাঁরা শাওন হত্যার বিচার চান।

জ্বালানি তেলসহ নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যের মূল্যবৃদ্ধি ও দলীয় নেতা-কর্মী হত্যার প্রতিবাদে মুন্সিগঞ্জ শহরের পাশে মুক্তারপুরে গত বুধবার বেলা তিনটার দিকে বিক্ষোভ কর্মসূচির আয়োজন করে জেলা বিএনপি। সেখানে বিএনপির নেতা-কর্মীদের সঙ্গে পুলিশের সংঘর্ষ হয়। সংঘর্ষের সময় গুলিতে শাওন ভূঁইয়া ও বিএনপির সমর্থক জাহাঙ্গীর মাতবর (৩৮) গুরুতর আহত হন। পরে বৃহস্পতিবার রাকে শাওন ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে  চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান।