Thank you for trying Sticky AMP!!

পুলিশের মামলায় বিএনপির চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আবুল খায়ের কারাগারে

আদালতের নির্দেশে আবুল খায়ের ভূঁইয়াকে কারাগারে পাঠানো হচ্ছে। রোববার দুপুরে লক্ষ্মীপুর জেলা ও দায়রা জজ আদালত ভবনে

পুলিশের করা মামলায় বিএনপির চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আবুল খায়ের ভূঁইয়াকে কারাগারে পাঠিয়েছেন আদালত। আজ রোববার দুপুরে লক্ষ্মীপুর জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক মো. রহিবুল ইসলাম তাঁর জামিন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন। এর আগে তিনি আদালতে হাজির হয়ে জামিনের আবেদন করেন।

আবুল খায়ের ভূঁইয়া বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার উপদেষ্টা ও জেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি। এ ছাড়া তিনি লক্ষ্মীপুর-২ (রায়পুর) আসনের সাবেক সংসদ সদস্য। খায়ের ভূঁইয়াকে কারাগারে পাঠানোর ঘটনায় বিক্ষোভ করেছেন বিএনপির বিভিন্ন পর্যায়ের নেতা-কর্মীরা। তাঁরা আসামি বহনকারী প্রিজন ভ্যান আটকানোর চেষ্টা করেন। এ সময় পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করে।

জেলা জজ আদালতের সরকারি কৌঁসুলি (পিপি) জসিম উদ্দিন বলেন, পুলিশের দায়িত্ব পালনে বাধা ও পিটিয়ে আহত করার ঘটনায় দুটি মামলায় খায়ের ভূঁইয়া জামিন আবেদন করেন। আদালত জামিন নামঞ্জুর করে তাঁকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, গত বছরের ১৮ জুলাই লক্ষ্মীপুরে বিএনপির পদযাত্রা কর্মসূচি ঘিরে পুলিশ ও বিএনপির সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। ওই দিন বিকেল পাঁচটার দিকে জেলা শহরের ঝুমুর সিনেমা হল ও রামগতি সড়কের আধুনিক হাসপাতালের সামনে দুই পক্ষের মধ্যে দফায় দফায় সংঘর্ষ হয়। প্রায় ঘণ্টাব্যাপী চলা সংঘর্ষে পুলিশ ও বিএনপির অর্ধশতাধিক ব্যক্তি আহত হন। সংঘর্ষ চলাকালে সজীব হোসেন (৩০) নামের এক ব্যক্তি নিহত হন। তিনি চন্দ্রগঞ্জ থানা কৃষক দলের সদস্য ছিলেন।

এ ঘটনায় পুলিশের দায়িত্ব পালনে বাধা, পিটিয়ে আহত, বিস্ফোরক ও নাশকতার অভিযোগে ৫৫ জনের নাম উল্লেখ করে এবং অজ্ঞাতনামা তিন হাজারজনের বিরুদ্ধে পৃথক দুটি মামলা করে পুলিশ। দুটি মামলাতেই বিএনপির প্রচার সম্পাদক ও জেলা কমিটির আহ্বায়ক শহীদ উদ্দীন চৌধুরী এ্যানিকে প্রধান আসামি করা হয়। দুটি মামলায় বিএনপি নেতা আবুল খায়ের ভূঁইয়া ও জেলা বিএনপির সদস্যসচিব সাহাবুদ্দিন সাবুকেও আসামি করা হয়। গত ২৭ ফেব্রুয়ারি জেলা ও দায়রা জজ আদালত বিএনপি নেতা সাবুকে জামিন দেন।

আসামিপক্ষের আইনজীবী ও জেলা বিএনপির সদস্যসচিব হাছিবুর রহমান বলেন, মামলার পরে খায়ের ভূঁইয়া উচ্চ আদালত থেকে জামিন নিয়েছিলেন। পরে তিনি অসুস্থ হয়ে পড়েন। গত জানুয়ারি মাসে তিনি আবার উচ্চ আদালত থেকে ছয় সপ্তাহের জামিন নেন। জামিনের মেয়াদ শেষ হওয়ায় তিনি জেলা জজ ও দায়রা জজ আদালতে উপস্থিত হয়ে জামিন আবেদন করেন। কিন্তু আদালত জামিন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠান।