Thank you for trying Sticky AMP!!

ফরিদপুরে ‘রাসেলস ভাইপার’ সাপের কামড়ের ৩৬ দিন পর কৃষকের মৃত্যু

লাশ

ফরিদপুরের চরভদ্রাসন উপজেলায় বিষধর ‘রাসেলস ভাইপার’ সাপের কামড়ে অসুস্থ হয়ে মো. বিশা প্রামাণিক (৫৪) নামের এক কৃষকের মৃত্যু হয়েছে। সাপের কামড়ের এক মাস ছয় দিন পর আজ বৃহস্পতিবার বেলা তিনটার দিকে উপজেলার টিলারচর গ্রামে নিজ বাড়িতে তিনি মারা যান।

এর আগে ফরিদপুর, ঢাকার হাসপাতালসহ বিভিন্ন জায়গায় চিকিৎসা নিয়েছেন কৃষক বিশা প্রামাণিক। তিনি চরভদ্রাসন উপজেলা সদর ইউনিয়নের টিলারচর গ্রামের ডেঙ্গুর প্রামাণিকের ছেলে। কৃষক বিশা প্রামাণিক এক মেয়ের বাবা।

মৃত কৃষকের ভাই হায়দার প্রামাণিক জানান, গত ৭ মার্চ উপজেলার হরিরামপুর ইউনিয়নের চর শালেপুর গ্রামে শর্ষে কাটতে গিয়েছিলেন তাঁর ভাই বিশা প্রামাণিক ও টিলারচর গ্রামের আরেক কৃষক আক্কাস শেখ। ওই দিন দুপুর ১২টার দিকে কেটে রাখা শর্ষের আঁটি তোলার সময় তাঁর ভাইয়ের বাঁ পায়ের আঙুলে সাপে কামড় দেয়। বেলা দেড়টার দিকে তাঁকে চরভদ্রাসন উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে আনা হয়। সেখান থেকে তাঁকে ফরিদপুরের বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়। কিন্তু হাসপাতালে সাপের কামড় দেওয়ার ওষুধ না থাকায় তাঁকে আবার বাড়িতে ফিরিয়ে আনা হয়। এরপর বাড়িতে কয়েক দিন কবিরাজি চিকিৎসা করা হয়। একপর্যায়ে অবস্থার অবনতি হলে তাঁকে ফরিদপুর জেনারেল হাসপাতাল ও ফরিদপুরের বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল হয়ে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।

বিশা প্রামাণিকের স্ত্রী রেহানা খাতুন বলেন, আজ ঢাকা মেডিকেল থেকে তাঁর স্বামীকে বাড়িতে ফিরিয়ে আনা হয়। বাড়িতে আনার পর বেলা তিনটার দিকে তিনি মারা যান।

চরভদ্রাসন উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা মো. হাফিজুর রহমান বলেন, ওই কৃষককে প্রথম দিন যখন উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে আনা হয়, তখন সাপের কামড়ের জায়গা দেখে মনে হয়েছে, সাপটি ছিল বিষধর রাসেলস ভাইপার।

চরভদ্রাসন ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান আজাদ খান বলেন, সাপের কামড় দেওয়ার পর তিনি যথাযথ চিকিৎসা পাননি। টাকার অভাবে কখনো হাসপাতালে চিকিৎসা করিয়েছেন, কখনো কবিরাজি চিকিৎসা করানো হয়েছে।