Thank you for trying Sticky AMP!!

বাজেট–সংকটে উপনির্বাচনের ভোটকেন্দ্রে সিসিটিভি থাকছে না: নির্বাচন কমিশনার

বেগম রাশিদা সুলতানা

বিএনপির সংসদ সদস্যদের পদত্যাগে শূন্যঘোষিত পাঁচটি সংসদীয় আসনের উপনির্বাচনে বাজেট–সংকটের কারণে ভোটকেন্দ্রে সিসিটিভি ক্যামেরা থাকছে না বলে জানিয়েছেন নির্বাচন কমিশনার বেগম রাশিদা সুলতানা। বগুড়া-৪ ও বগুড়া-৬ আসনের উপনির্বাচনে নিয়োগ পাওয়া প্রিজাইডিং কর্মকর্তাদের সঙ্গে আয়োজিত মতবিনিময় সভায় নির্বাচন কমিশনার বেগম রাশিদা সুলতানা এ কথা জানান। আজ মঙ্গলবার সকালে বগুড়া জেলা পরিষদ মিলনায়তনে প্রিজাইডিং কর্মকর্তাদের সঙ্গে এ মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়।

উপনির্বাচনে সিসিটিভি স্থাপন প্রসঙ্গে রাশিদা সুলতানা বলেন, পর্যাপ্ত বাজেট না থাকায় পাঁচ আসনের উপনির্বাচনে নিরাপত্তায় সিসিটিভি থাকছে না। আর ভোটকেন্দ্রে সিসিটিভি স্থাপনের কোনো বাধ্যবাধকতাও নেই। যদি পরবর্তী কোনো নির্বাচনে সরকার বাজেট দেয়, তখন সিসিটিভি স্থাপন করা হবে। আপাতত উপনির্বাচনে ভোটকেন্দ্রে সিসিটিভি থাকছে না।

আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ইভিএমে ভোট গ্রহণ প্রসঙ্গে নির্বাচন কমিশনার বলেন, আগে ৮০টি আসনে নির্বাচন করার মতো ইভিএম (যন্ত্র) ছিল, তবে কিছু ইভিএম নষ্ট হয়েছে। এখন সব মিলিয়ে ৬০ থেকে ৭০ আসনে ইভিএমে নির্বাচন করার মতো যন্ত্র নির্বাচন কমিশনের কাছে আছে।

নিবন্ধিত সব দলকে নির্বাচনে অংশ নেওয়ার আহ্বান জানিয়ে রাশিদা সুলতানা বলেন, ‘কোনো রাজনৈতিক দলকে নির্বাচনে আনার হার্ড অ্যান্ড ফাস্ট রুল আরপিওতে (গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশ) কোথাও নেই। তবুও আমরা চাইব, নিবন্ধিত সব দলের প্রতি আহ্বান করব, সবাই নির্বাচনে আসুক। আমরা সেই ক্ষেত্র তৈরির চেষ্টা করছি। উদ্দেশ্য একটাই, আগামী জাতীয় নির্বাচন সুষ্ঠু ও অবাধ করা। যেন ভোটাররা কেন্দ্রে এসে নির্বিঘ্নে ভোট দিয়ে চলে যেতে পারেন। এই ফিল্ড তৈরির জন্যই এত পরিশ্রম।’

সভার পর রাশিদা সুলতানা বগুড়া-৪ ও বগুড়া-৬ আসনে সুষ্ঠুভাবে ভোট গ্রহণের লক্ষ্যে জেলা প্রশাসকের সভাকক্ষে প্রার্থী ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী সদস্যদের সঙ্গেও মতবিনিময় সভা করেন। নির্বাচনে রিটানিং কর্মকর্তা ও জেলা প্রশাসক মো. সাইফুল ইসলামের সভাপতিত্বে ওই সভায় বগুড়ার পুলিশ সুপার সুদীপ কুমার চক্রবর্তী, জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা মাহমুদ হাসান বক্তব্য দেন।

সভায় স্বতন্ত্র প্রার্থী ও সচেতন নাগরিক কমিটির (সনাক) জেলা কমিটির সভাপতি মাসুদার রহমান উপনির্বাচনের প্রতিটি কেন্দ্রে সিসিটিভি স্থাপনের দাবি তুলে ধরেন। তাঁর এ দাবির প্রতি সমর্থন জানান জাতীয় পার্টির (এরশাদ) প্রার্থী নুরুল ইসলাম ওমর ও জাসদের (ইনু) প্রার্থী ইমদাদুল হক। তবে প্রার্থীদের এ দাবির বিষয়ে আর কোনো মন্তব্য করেননি নির্বাচন কমিশনার বেগম রাশিদা সুলতানা। তবে ভোট অবাধ ও সুষ্ঠু হবে বলে তিনি আশ্বস্ত করেন।

এ ছাড়া প্রার্থীরা অবাধ পরিবেশে ভোট গ্রহণ, কেন্দ্রে দায়িত্বপ্রাপ্ত প্রিজাইডিং কর্মকর্তাদের সঙ্গে যোগাযোগের জন্য মুঠোফোন নম্বর, গোপনকক্ষে ঢুকে কেউ যেন ভোটারদের প্রভাবিত করতে না পারেন, তা নিশ্চিত করার জন্য দাবি জানান।