Thank you for trying Sticky AMP!!

কুমারখালীতে নির্বাচন–পরবর্তী সহিংসতায় আহত ব্যক্তির মৃত্যু

মরদেহ

কুষ্টিয়ার কুমারখালীতে নির্বাচন–পরবর্তী সহিংসতায় আহত এক ব্যক্তি চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছেন। তাঁর নাম জিয়ার হোসেন (৪৫)। আজ সোমবার বিকেল সাড়ে চারটার দিকে ঢাকা পঙ্গু হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান।

সন্ধ্যায় এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন কয়া ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান মো. আলী হোসেন। তিনি জানান, নৌকায় ভোট দেওয়ায় জিয়ারকে প্রতিপক্ষের (ট্রাক মার্কা) লোকজন গুলি করেছিলেন। আজ বিকেলে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তাঁর মৃত্যু হয়। ঘটনায় জড়িত ব্যক্তিদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানান ইউপি চেয়ারম্যান।

মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন জিয়ার হোসেনের ছোট ভাই ইয়ারুল ইসলামও। মুঠোফোনে তিনি জানান, নৌকায় ভোট দেওয়ার অপরাধে ১২ জানুয়ারি সকালে সাবেক ইউপি সদস্য খালেক ও তাঁর তিন ছেলে রিপন, লিটন, শিপনসহ তাঁদের সন্ত্রাসী বাহিনী তাঁর দুই ভাইকে গুলি করে আহত করেন। এর মধ্যে জিয়ার আজ পঙ্গু হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছেন। রাতেই লাশ গ্রামে আনার ব্যবস্থা করা হচ্ছে।

গুলিবিদ্ধ আরেক ভাই আলতাফ হোসেন একই সহিংসতার ঘটনায় এখনো চিকিৎসাধীন বলে জানান ইয়ারুল। তাঁরা উপজেলার কয়া ইউনিয়নের বের কালোয়া গ্রামের মৃত কেঁদো শেখের ছেলে। সবাই পেশায় জেলে।
নৌকার ভোট দেওয়া কি অপরাধ? এমন কথা বলে কান্নায় ভেঙে পড়েন ইয়ারুল। তাঁর দাবি, নৌকায় ভোট দেওয়ার কারণেই আগ্নেয়াস্ত্র নিয়ে তাঁদের ওপর হামলা করেছে প্রতিপক্ষ।

এ বিষয়ে জানতে ইউপি সদস্য খালেক ও তাঁর ছেলে রিপন আলীর মুঠোফোনে বারবার কল দিলেও সংযোগ বন্ধ পাওয়া যায়। তবে ১২ জানুয়ারি রিপন মুঠোফোনে বলেন, প্রতিপক্ষের লোকজন তাঁদের ওপর হামলা করেছিলেন। সে জন্য তাঁরাও প্রতিপক্ষকে পাল্টা ধাওয়া দিয়েছিলেন। সে সময় কয়েকজনকে মারধর করা হয়েছে। তবে গোলাগুলির কোনো ঘটনা ঘটেনি।

গুলিবিদ্ধ জিয়ার হোসেনের মৃত্যুর খবর শুনেছেন জানিয়ে কুমারখালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আকিবুল ইসলাম প্রথম আলোকে বলেন, এ ঘটনায় ১৪ জনকে আসামি করে থানায় মামলা করা হয়েছে। আসামিদের গ্রেপ্তারে অভিযান অব্যাহত রয়েছে। এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন রয়েছে।