Thank you for trying Sticky AMP!!

লাঙ্গল প্রতীকে সিল মারা ১২৩টি অবৈধ ব্যালট উদ্ধার

পটুয়াখালী জেলার মানচিত্র

পটুয়াখালীর মির্জাগঞ্জে পটুয়াখালী–১ আসনের দুটি ভোটকেন্দ্রের তিনটি বুথ থেকে লাঙ্গল প্রতীকে সিলমারা ১২৩টি অবৈধ ব্যালট পেপার উদ্ধার করেছেন সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তা সাইয়েমা হাসান। আজ বেলা তিনটার দিকে উপজেলার সুবিদখালী মডেল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ও সুবিদখালী সরকারি রহমান ইসহাক মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের তিনটি বুথ থেকে ব্যালট পেপারগুলো উদ্ধার করা হয়।  

স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, আজ বেলা তিনটার দিকে ৪-৫ জন সুবিদখালী মডেল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ও সুবিদখালী সরকারি রহমান ইসহাক মাধ্যমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রের তিনটি বুথে ঢুকে জোরপূর্বক ব্যালট পেপারে সিল মারতে থাকেন। এ খবর পেয়ে সহকারী  রিটার্নিং কর্মকর্তা সাইয়েমা হাসান ও জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট স্বপন কুমার দাস ও মির্জাগঞ্জ থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ঘটনাস্থলে পৌঁছালে দুর্বৃত্তরা পালিয়ে যায়।  

সুবিদখালী মডেল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রের প্রিসাইডিং কর্মকর্তা নাহিদ হাসান বলেছেন, বেলা তিনটার দিকে লাঙ্গল প্রতীকের কয়েকজন কেন্দ্রে ঢুকে জোর করে ব্যালটে সিল মারার চেষ্টা করেন। তাৎক্ষণিকভাবে বিষয়টি সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তাকে জানাই। তাঁরা ঘটনাস্থলে পৌঁছালে দুর্বৃত্তরা পালিয়ে যায়।’

মির্জাগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তা সাইয়েমা হাসান ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে প্রথম আলোকে বলেন, ভোট গ্রহণের শেষ মুহূর্তে  দুর্বৃত্তদের সিল মারা কিছু ব্যালট উদ্ধার করা হয়েছে। সিল মারা ব্যালট পেপারগুলো বাতিল করা হয়েছে। এ ব্যাপারে তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
এ বিষয়ে পটুয়াখালী জেলা প্রশাসক ও রিটার্নিং কর্মকর্তা নুর কুতুবুল আলম বলেন, দোষী ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে নিয়মিত মামলা করার জন্য সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তাকে বলা হয়েছে।

পটুয়াখালী-১ আসনের বিভিন্ন কেন্দ্রে সকাল আটটায় ভোট গ্রহণ শুরু হয়। ভোটার উপস্থিতি ছিল খুবই কম। বিভিন্ন কেন্দ্র ঘুরে ভোটারদের লাইনে দাঁড়িয়ে ভোট দিতে দেখা যায়নি।  

এই আসনে এ বি এম রুহুল আমিন হাওলাদার (লাঙ্গল), জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দলের কে এম আনোয়ারুজ্জামান (মশাল), বাংলাদেশ সাংস্কৃতিক মুক্তি জোটের মহিউদ্দিন মামুন (ছড়ি), বাংলাদেশ তরীকত ফেডারেশনের মো. খলিল (ফুলের মালা), ন্যাশনাল পিপলস পার্টির মো. নজরুল ইসলাম (আম) ও বাংলাদেশ কংগ্রেস পার্টির মো. নাসির উদ্দিন তালুকদার (ডাব) প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন।