Thank you for trying Sticky AMP!!

মা ও দাদি ব্যস্ত ছিলেন ঘরের কাজে, পুকুরে ভাসছিল শিশু আমানের লাশ

পানিতে ডুবে মৃত্যু

মা মনে করেছিলেন, ছেলে আমান উল্লাহ (৪) তার দাদির ঘরে আছে। আর দাদি মনে করেছিলেন, নাতি তার মায়ের ঘরে আছে। একপর্যায়ে বাইরে থেকে এক প্রতিবেশী খবর দেন, শিশু আমান বাড়ির পাশের পুকুরে ভাসছে। বাড়ির সবাই সেখানে ছুটে যান। প্রতিবেশীরা পুকুরে নেমে আমানকে অজ্ঞান অবস্থায় উদ্ধার করেন। পরে আমানকে দ্রুত উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিলে সেখানকার চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

আজ শনিবার সকাল ৯টার দিকে দিনাজপুরের নবাবগঞ্জ উপজেলার দাউদপুর ইউনিয়নের হোড়ারপাড়া গ্রামে এ দুর্ঘটনা ঘটেছে। পানিতে ডুবে মারা যাওয়া শিশু আমান উল্লাহ ওই গ্রামের নূর মোহাম্মদ ও গোলাপী বেগম দম্পতির ছেলে।

পরিবার ও প্রতিবেশীর বরাত দিয়ে স্থানীয় ইউপি সদস্য সাজেদুর রহমান প্রথম আলোকে বলেন, আজ সকাল সাড়ে ৮টার দিকে বাড়ির উঠানে খেলছিল শিশু আমান উল্লাহ। আমানের বাবা বাইরে কাজে ছিলেন। আমানের মা গোলাপী বেগম ও দাদি পৃথক ঘরে কাজ করছিলেন। তাঁরা দুজনেই ভাবেন, আমান অন্য ঘরে হয়তো আছে। পরে প্রতিবেশী মনিরুজ্জামান বাড়ি থেকে পূর্ব দিকে প্রায় ২০০ গজ দূরে প্রতিবেশী হেলাল উদ্দিনের পুকুরে আমানকে ভাসতে দেখতে চিৎকার করেন। তাঁর চিৎকারে প্রতিবেশীরা পুকুরে নেমে আমানকে অজ্ঞান অবস্থায় উদ্ধার করেন। পরে আমানকে মোটরসাইকেলে করে স্থানীয় নবাবগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিলে সেখানকার চিকিৎসক তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন।

এ বিষয়ে নবাবগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) তাওহীদুল ইসলাম প্রথম আলোকে জানান, পানিতে ডুবে শিশুর মৃত্যুর খবর পেয়ে আজ দুপুরে থানার উপপরিদর্শক (এসআই) মাহমুদুন্নবীসহ পুলিশের একটি দল ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে। পরে শিশুটির মরদেহের সুরতহাল প্রতিবেদন তৈরি করা হয়েছে। পরিবারের পক্ষ থেকে কোনো অভিযোগ না থাকায় শিশুটির মরদেহ দাফনের অনুমতি দেওয়া হয়েছে।