Thank you for trying Sticky AMP!!

সংবাদ সম্মেলন করে নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ানোর ঘোষণা দিলেন যশোর-৫ আসনের জাতীয় পার্টির প্রার্থী এম এ হালিম। গতকাল রাতে মনিরামপুরের গোপালপুর গ্রামে

কেন্দ্রীয় নেতাদের ‘রহস্যজনক আচরণে’ সরে দাঁড়ালেন জাপার প্রার্থী

যশোর-৫ (মনিরামপুর) আসনে জাতীয় পার্টি মনোনীত লাঙ্গল প্রতীকের প্রার্থী এম এ হালিম নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ানোর ঘোষণা দিয়েছেন। গতকাল বৃহস্পতিবার রাতে উপজেলার গোপালপুর গ্রামে নিজ বাড়িতে সংবাদ সম্মেলন করে তিনি নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ানোর ঘোষণা দেন।

সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে এম এ হালিম বলেন, জাতীয় পার্টির আসন ভাগাভাগির নির্বাচন দেশ ও জাতীয় পার্টির জন্য ক্ষতিকর মনে করে কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে প্রতিবাদ করেছিলেন তিনি। ভেবেছিলেন, নির্বাচন করবেন না, কিন্তু মনিরামপুরবাসীর স্বার্থের কথা চিন্তা করে নির্বাচন চালিয়ে যাচ্ছিলেন। তিনি বলেন, ‘আমার ধারণা ছিল, হয়তো মনিরামপুরবাসীর স্বার্থে দলমত–নির্বিশেষে সবাই ভোটের মাধ্যমে একটি পরিবর্তনকে স্বাগত জানাবে। কিন্তু জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান ও মহাসচিবের রহস্যজনক আচরণ এবং মহাসচিবের নির্বাচনী পোস্টারের ধরন ও আওয়ামী লীগের সঙ্গে জাতীয় পার্টির সমঝোতার বিষয়টিতে সাধারণ জনগণ তো দূরের কথা, আমার নিজ দলের নেতা–কর্মীরাও এই ভোটে আগ্রহ হারিয়েছেন।’

Also Read: ভোটের আগমুহূর্তে জাতীয় পার্টির আরও ৪ জন সরে দাঁড়ালেন 

লিখিত বক্তব্যে এম এ হালিম উল্লেখ করেন, জাপার কেন্দ্রীয় নেতারা সহযোগিতা তো দূরের কথা, কোনো খোঁজখবরও রাখেননি। তাই অধিকাংশ নেতা–কর্মী এবং মনিরামপুরের বৃহৎ জনগোষ্ঠীর মতামতকে গুরুত্ব দিয়ে এই নির্বাচন থেকে তিনি সরে দাঁড়াচ্ছেন। এই নির্বাচনে কোনো ব্যক্তি, দল বা প্রতীককে তিনি সমর্থন করছেন না। যদি দলের কোনো নেতা–কর্মী অন্য কোনো ব্যক্তি, প্রতীককে সমর্থন বা সহযোগিতা করেন, তবে সেটা তাঁর একান্ত ব্যক্তিগত বিষয়।

নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ানোয় লাঙ্গল প্রতীকে ভোট না দেওয়ার জন্য ভোটারদের অনুরোধ করেন এম এ হালিম। সংবাদ সম্মেলনে জাতীয় পার্টির স্থানীয় পর্যায়ের কয়েকজন নেতা–কর্মী উপস্থিত ছিলেন।

Also Read: জাতীয় পার্টি মোটামুটি একটা উত্তরবঙ্গের দল: জি এম কাদের

এম এ হালিমের ভোট বর্জনের ঘোষণার পর মনিরামপুরে ভোটের লড়াইয়ে থাকছেন চার প্রার্থী। তাঁরা হলেন আওয়ামী লীগের মনোনীত স্বপন ভট্টাচার্য্য (নৌকা), স্বতন্ত্র প্রার্থী এস এম ইয়াকুব আলী (ঈগল), ইসলামী ঐক্যজোটের হাফেজ মাওলানা নুরুল্লাহ আব্বাসী (মিনার) এবং তৃণমূল বিএনপির আবু নসর মোহাম্মদ মোস্তফা (সোনালী আঁশ)।

Also Read: সমঝোতার ২৬ আসনের ১৬টিতে চিন্তিত জাতীয় পার্টি