Thank you for trying Sticky AMP!!

চকরিয়ায় বিপন্ন প্রজাতির দুটি ভালুক শাবকসহ এক ব্যক্তি গ্রেপ্তার

দীপক দাসের কাছ থেকে উদ্ধার করা ভালুক শাবক দুটি। শনিবার দুপুরে কক্সবাজার পুলিশ সুপার কার্যালয়ে

কক্সবাজারের চকরিয়ায় পাচারের উদ্দেশ্যে জিম্মি রাখা বিপন্ন প্রজাতির দুটি ভালুক শাবকসহ এক ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করেছে কক্সবাজার জেলা গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)। তাঁর নাম দীপক দাস (৩২)।

গতকাল শুক্রবার রাতে চকরিয়া পৌরসভার দিগরপানখালী এলাকায় অভিযান চালিয়ে ভালুকসহ তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়। দীপক দাস চকরিয়ার দিগরপানখালী এলাকার মৃত সোনারাম দাসের ছেলে। এ বিষয়ে আজ শনিবার দুপুরে পুলিশ সুপার কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলন করেন পুলিশ সুপার মাহফুজুল ইসলাম।

দীপক দাস আন্তর্জাতিক বন্য প্রাণী পাচারকারী চক্রের সদস্য জানিয়ে সংবাদ সম্মেলনে পুলিশ সুপার বলেন, পুলিশের কাছে তথ্য ছিল, দীপক দাস আমদানি-রপ্তানি নিষিদ্ধ বন্য প্রাণী পাচার করেন। পুলিশ দীর্ঘদিন ধরে তাঁর ওপর নজর রাখছিল। ১৬ জানুয়ারি পুলিশ তথ্য পায়, দীপক দাস সম্প্রতি মিয়ানমার থেকে বান্দরবান সীমান্তের চোরাইপথে দুটি ভালুক শাবক এনে নিজ হেফাজতে রেখেছেন। এ তথ্যের ভিত্তিতে গতকাল রাতে চকরিয়া পৌরসভার দিগরপানখালী এলাকায় দীপকের বাড়িতে অভিযান চালানো হয়। এ সময় তাঁকে গ্রেপ্তার ও ভালুক শাবক দুটি উদ্ধার করা হয়।

উদ্ধার হওয়া ভালুক শাবক দুটির প্রতিটির ওজন এক কেজির বেশি এবং বয়স আনুমানিক দুই মাস জানিয়ে পুলিশ সুপার বলেন, দীপক দাস মিয়ানমার থেকে আমদানি–রপ্তানি নিষিদ্ধ বন্য প্রাণী এনে অধিক মুনাফায় পাচারকারী চক্রের অন্য সদস্যদের কাছে হস্তান্তর করতেন। তাঁরা এসব বন্য প্রাণী সাতক্ষীরা ও যশোর সীমান্ত দিয়ে ভারতে পাচার করতেন। সম্প্রতি চক্রের সদস্যরা দুটি ভালুক, দুটি উল্লুক ও ছয়টি লজ্জাবতী বানর চোরাইপথে ভারতে পাচার করেন বলে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে দীপক দাস জানিয়েছেন।

চকরিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা চন্দন কুমার চক্রবর্তী প্রথম আলোকে বলেন, দীপক দাসের বিরুদ্ধে গোয়েন্দা পুলিশ বাদী হয়ে চকরিয়া থানায় মামলা করেছে। আজ বিকেলে তাঁকে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।