Thank you for trying Sticky AMP!!

ফুলপরী নির্যাতনের ঘটনায় আবার শৃঙ্খলা কমিটির সভা, কাল জরুরি সিন্ডিকেট

ভুক্তভোগী শিক্ষার্থী ফুলপরী খাতুন

কুষ্টিয়ার ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) শিক্ষার্থী ফুলপরী খাতুনকে নির্যাতনের ঘটনায় ছাত্রলীগের নেত্রীসহ পাঁচজনের শাস্তির বিষয়ে আবার শৃঙ্খলা কমিটির সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। আজ রোববার বিকেল সাড়ে চারটার দিকে উপাচার্যের সভাকক্ষে এ সভা অনুষ্ঠিত হয়। সেখানে নির্যাতনের ঘটনায় হাইকোর্টের নির্দেশের বিষয়টি পর্যালোচনা করা হয়।

সভায় সিদ্ধান্ত হয়, কাল সোমবার এক জরুরি সিন্ডিকেট সভা ডেকে এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে এবং সেটি হাইকোর্টে পাঠানো হবে। শৃঙ্খলা কমিটির সদস্য ও বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী উপদেষ্টা সেলিনা নাসরিন রাত পৌনে আটটার দিকে প্রথম আলোকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

Also Read: ফুলপরীকে নির্যাতনে জড়িত ছাত্রলীগ নেত্রীসহ ৫ শিক্ষার্থীকে এক বছরের জন্য বহিষ্কার

এর আগে বিকেল সাড়ে চারটা থেকে সোয়া পাঁচটা পর্যন্ত শৃঙ্খলা কমিটির সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় সভাপতিত্ব করেন উপাচার্য আবদুস সালাম। সভা শেষে সিদ্ধান্তের বিষয়ে জানতে চাইলে কমিটির সদস্যসচিব ও প্রক্টর শাহাদৎ হোসেন আজাদ এ ব্যাপারে বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন প্রশাসক আনিসুর রহমানের সঙ্গে যোগাযোগ করতে বলেন।

আইন প্রশাসক আনিসুর রহমানকে একাধিকবার ফোন দিলেও তিনি ফোন ধরেননি। উপাচার্য আবদুস সালামের মুঠোফোনে কল করেও তাঁকে পাওয়া যায়নি। তবে রাত আটটার দিকে রেজিস্ট্রার (ভারপ্রাপ্ত) এইচ এম আলী হাসান বলেন, সোমবার বিকেল চারটার দিকে উপাচার্যের বাসভবনে জরুরি সিন্ডিকেট সভা ডাকা হয়েছে।

Also Read: ফুলপরী, ছাত্রলীগ ও উপহাসের অর্থ খোঁজা

ফুলপরীকে নির্যাতনের ঘটনায় গত ১৫ জুলাই বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র-শৃঙ্খলা কমিটির সভায় বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সহসভাপতি সানজিদা চৌধুরীসহ পাঁচজনকে এক বছরের জন্য একাডেমিক, আবাসিক বা অন্যান্য কার্যক্রম থেকে বহিষ্কারের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। অন্য চার ছাত্রী হলেন হালিমা আক্তার, ইসরাত জাহান, তাবাসসুম ইসলাম ও মোয়াবিয়া জাহান।

ওই ব্যবস্থা যথাযথ প্রক্রিয়ায় নেওয়া হয়নি উল্লেখ করে হাইকোর্ট বিশ্ববিদ্যালয়ের ১৯৮৭ সালের কোড অব কন্ডাক্টস অব দ্য স্টুডেন্টস (শিক্ষার্থী শৃঙ্খলাবিধি) অনুসরণ করে যথাযথ প্রক্রিয়ায় পাঁচ শিক্ষার্থীর শাস্তি নিশ্চিতের নির্দেশ দেন। গত ২৬ জুলাই বিচারপতি জে বি এম হাসান ও বিচারপতি রাজিক-আল-জলিলের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চে এ আদেশ দেন। বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের প্রতি ওই নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল।

Also Read: নির্যাতনে অভিযুক্তদের শাস্তির খবরে ফুলপরী বললেন, ‘আমাকে পালাইয়ে চলে যেতে হবে’

আদালত বলেছিলেন, আইন অনুসারে প্রথমে উপাচার্য শাস্তির বিষয়ে সিদ্ধান্ত দেবেন। তিনি সন্তুষ্ট না হলে বা তুলনামূলক শাস্তি কম হলে তখন শৃঙ্খলা কমিটির কাছে বিষয়টি পাঠাবেন। এ ক্ষেত্রে প্রথমেই শৃঙ্খলা কমিটি বহিষ্কারের সিদ্ধান্ত দেয়। এতে প্রক্রিয়াগত কিছু ত্রুটি আছে।

গত ১২ ফেব্রুয়ারি বিশ্ববিদ্যালয়ের দেশরত্ন শেখ হাসিনা আবাসিক হলের গণরুমে আটকে রেখে ফিন্যান্স বিভাগের প্রথম বর্ষের ছাত্রী ফুলপরীকে নির্যাতন করা হয়। তিনি বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের কাছে অভিযোগ করার পর সারা দেশে আলোচনার জন্ম দেয়। ওই ঘটনা নিয়ে গণমাধ্যমে আসা প্রতিবেদন যুক্ত করে জড়িত শিক্ষার্থীদের বিরুদ্ধে আইনানুযায়ী ব্যবস্থা নিতে নির্দেশনা চেয়ে সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী ও ইবির সাবেক শিক্ষার্থী গাজী মো. মহসীন রিট করেন।