Thank you for trying Sticky AMP!!

ডান্ডাবেড়ি পরা অবস্থায় বাবার জানাজায় অংশ নিয়েছেন ছাত্রদল নেতা মো. নাজমুল মৃধা।

ডান্ডাবেড়ি পায়ে বাবার জানাজা পড়া সেই ছাত্রদল নেতা জামিনে মুক্ত

পটুয়াখালীর মির্জাগঞ্জে ডান্ডাবেড়ি পরে বাবার জানাজায় অংশ নেওয়া ছাত্রদল নেতা মো. নাজমুল মৃধা জামিনে মুক্তি পেয়েছেন। আজ বুধবার জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক এস এম এরসাদুল ইসলাম তাঁর জামিন মঞ্জুর করেন। সন্ধ্যায় কারাগার থেকে মুক্তি পান তিনি।

নাজমুল মৃধা মির্জাগঞ্জ উপজেলা ছাত্রদলের যুগ্ম আহ্বায়ক। জেলা ছাত্রদলের সদস্যসচিব মো. জাকারিয়া আহমেদ তাঁর মুক্তির বিষয়টি প্রথম আলোকে নিশ্চিত করেছেন।

নাজমুলের আইনজীবী ও স্বজনদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, গত ২০ ডিসেম্বর বাড়ির সামনে থেকে নাজমুলকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। পরে ২০২২ সালের ৮ ডিসেম্বর উপজেলার আমড়াগাছিয়া ইউনিয়নের মহিষকাটা বাজারে ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের কার্যালয়ে হামলা ও ভাঙচুরের ঘটনায় করা মামলায় তাঁকে গ্রেপ্তার দেখিয়ে কারাগারে পাঠানো হয়। কারাগারে থাকা অবস্থায় ১২ জানুয়ারি রাতে তাঁর বাবা মোতালেব হোসেন মৃধা বরিশালের শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান।

স্বজনেরা জানান, বাবার জানাজায় অংশ নেওয়ার জন্য ১৩ জানুয়ারি আইনজীবীর মাধ্যমে জেলা প্রশাসক বরাবর প্যারোলে মুক্তির আবেদন করেন নাজমুলের বড় ভাই মো. রাসেল মৃধা। ওই দিন বেলা একটা থেকে বিকেল পাঁচটা পর্যন্ত তাঁকে প্যারোলে মুক্তি দেওয়া হয়। পরে শেষবারের মতো বাবার লাশ দেখতে ও জানাজায় অংশ নিতে নাজমুলকে বাড়িতে আনে পুলিশ। জানাজার সময় হাতকড়া খুলে দিলেও তাঁর পায়ের ডান্ডাবেড়ি খুলে দেয়নি পুলিশ। প্রতিবেদন প্রকাশিত হলে নানা সমালোচনা দেখা দেয়। এ নিয়ে প্রথম আলোসহ বিভিন্ন গণমাধ্যমে ‘ডান্ডাবেড়ি পায়ে বাবার জানাজায় ছাত্রদল নেতা’ শিরোনামে খবর প্রকাশিত হয়।

Also Read: ডান্ডাবেড়ি পায়ে বাবার জানাজায় ছাত্রদল নেতা

আইনজীবী ও স্বজনেরা বলেন, আজ জেলা ও দায়রা জজ আদালতে আইনজীবীর মাধ্যমে তাঁর জামিন আবেদন করা হয়। আদালতের বিচারক এস এম এরসাদুল আলম তাঁর জামিন মঞ্জুর করেন। জামিনের কাগজ কারাগারে পৌঁছালে বিকেল সাড়ে পাঁচটার দিকে নাজমুল মুক্তি পান।

নাজমুলের বড় ভাই রাসেল মৃধা প্রথম আলোকে বলেন, নাজমুল জামিনে মুক্তি পেয়ে সন্ধ্যায় বাড়িতে আসেন। বাড়িতে ফিরে বাবার কবর জিয়ারত করতে গিয়ে কান্নায় ভেঙে পড়েন।

Also Read: ডান্ডাবেড়ি নিয়ে একই ঘটনার পুনরাবৃত্তি কেন