Thank you for trying Sticky AMP!!

কনের বাবাকে ছয় মাস, বরকে এক মাসের কারাদণ্ড

নোয়াখালীর চাটখিল উপজেলায় বাল্যবিয়ে বন্ধে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ইমরানুল হক ভূঁইয়া। সোমবার দুপুরে রামনারায়ণপুর ইউনিয়নের বৈকণ্ঠপুর গ্রামে

প্রশাসনের নির্দেশনা অমান্য করে মাদ্রাসাপড়ুয়া কিশোরী (১৪) মেয়েকে বিয়ে দিচ্ছিলেন বাবা মিজানুর রহমান। বর সেজে বিয়েবাড়িতে আসেন হবু বর শাহদাত হোসেনও। খবর পেয়ে কনের বাড়িতে হাজির হয় উপজেলা প্রশাসন। বাল্যবিবাহের আয়োজন করায় বাবা মিজানুর রহমানকে ছয় মাস ও বর শাহদাত হোসেনকে এক মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড দেন ভ্রাম্যমাণ আদালত।

আজ সোমবার দুপুরে নোয়াখালীর চাটখিল উপজেলার রামনারায়ণপুর ইউনিয়নের বৈকণ্ঠপুর গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ইমরানুল হক ভূঁইয়া ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করে এ সাজা দেন।

উপজেলা প্রশাসন সূত্রে জানা গেছে, বৈকণ্ঠপুর গ্রামের মিজানুর রহমানের মেয়ে মল্লিকা দিঘিরপাড় মাদ্রাসার নবম শ্রেণির ছাত্রীর (১৪) সঙ্গে একই গ্রামের শাহদাত হোসেনের বিয়ে ঠিক করে পরিবার। আজ ওই বিয়ে হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু গোপন সূত্রে বাল্যবিবাহের খবর পৌঁছায় ইউএনও ইমরানুল হক ভূঁইয়ার কানে। তিনি স্থানীয় জনপ্রতিনিধির মাধ্যমে বাল্যবিবাহের আয়োজন বন্ধ করতে কনের বাবাকে নির্দেশ দেন। কিন্তু সেই নির্দেশ অমান্য করে আজ বিয়ের আয়োজন করেন তিনি। বর সেজে কনের বাড়িতে যান হবু বর শাহদাত হোসেনও।

এলাকার বাসিন্দারা জানান, বাল্যবিবাহের প্রস্তুতির খবর পেয়ে ইউএনও নিজেই পুলিশ নিয়ে কনের বাড়িতে হাজির হন। এ সময় ইউএনও বিয়ের আয়োজন বন্ধ করে দেন এবং তাৎক্ষণিক ভ্রাম্যমাণ আদালত বসিয়ে অপ্রাপ্তবয়স্ক মেয়েকে বিয়ে দেওয়ার চেষ্টার অপরাধে কনের বাবা মিজানুর রহমানকে ছয় মাস ও বাল্যবিবাহ করতে আসা বর শাহদাত হোসেনকে এক মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ডের আদেশ দেন। পরে দণ্ডপ্রাপ্ত ব্যক্তিদের পুলিশে সোপর্দ করা হয়। বিকেলে তাঁদের কারাগারে পাঠানো হয়।

ইউএনও ইমরানুল হক ভূঁইয়া প্রথম আলোকে বলেন, বাল্যবিবাহের বিষয়টি জানতে পেরে প্রথমে তিনি বিয়ে বন্ধের নির্দেশ দিয়েছিলেন। কিন্তু নির্দেশ অমান্য করে বিয়ের আয়োজনের খবর পেয়ে নিজেই বিয়েবাড়িতে অভিযান চালান এবং ভ্রাম্যমাণ আদালত বসিয়ে কনের বাবা ও বরকে পৃথক মেয়াদে কারাদণ্ড দেন। বাল্যবিবাহ নিরোধ আইন–২০১৭–এর ৮ ধারায় কনের বাবা ও ৭ ধারায় বরের বিরুদ্ধে ওই শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।