Thank you for trying Sticky AMP!!

কিশোর ভ্যানচালক হত্যাকাণ্ডে চারজন গ্রেপ্তার, মুঠোফোন-ব্যাটারি উদ্ধার

ভ্যানচালক শাকিব হোসেন হত্যাকাণ্ডের বিষয়ে আজ বুধবার দুপুরে বদলগাছি থানায় ব্রিফিং করা হয়

নওগাঁর বদলগাছিতে ব্যাটারিচালিত ভ্যানের চালক শাকিব হোসেন হত্যায় চারজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। গতকাল মঙ্গলবার রাতে তাঁদের গ্রেপ্তার করা হয়। তাঁদের কাছ থেকে নিহত কিশোরের মুঠোফোন ও ভ্যানের চারটি ব্যাটারি উদ্ধার করা হয়।

গ্রেপ্তার চারজন হলেন মহাদেবপুর উপজেলার মহাদেবপুর পূর্বপাড়ার গ্রামের আসমত আলী (২৪), চকগোবিন্দ গ্রামের ইমারান হোসেন (৩২), ফাজিলপুর গ্রামের জুয়েল রানা (২৮) ও আতুরা গ্রামের মো. মনির (২৩)।

নিহত শাকিব মহাদেবপুর উপজেলার ফতেহপুর গ্রামের আলতাফ হোসেনের ছেলে। সে স্থানীয় একটি মাদ্রাসার অষ্টম শ্রেণির ছাত্র ছিল। পাশাপাশি সে ব্যাটারিচালিত ভ্যান চালাত। শাকিব ১৯ জুন ভ্যান নিয়ে বাড়ি থেকে বের হয়ে আর ফেরেনি। নিখোঁজের দুই দিন পর ২১ জুন আখিট্টি এলাকায় পরিত্যক্ত অবস্থায় তার ভ্যান পাওয়া যায়। গত সোমবার বেলা ১১টার দিকে উপজেলার গাবনা-মতাজিহাট সড়কের গাবনা সেতুর পাশে একটি ডোবার কচুরিপানার মধ্য থেকে তার অর্ধগলিত লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। ওই দিন শাকিবের বাবা আলতাফ হোসেন বাদী হয়ে অজ্ঞাতনামা কয়েকজনকে আসামি করে বদলগাছি থানায় একটি হত্যা মামলা করেন।

এ হত্যাকাণ্ডের বিষয়ে আজ বুধবার দুপুরে বদলগাছি থানায় ব্রিফিং করা হয়। এ সময় উপস্থিত ছিলেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার জয়ব্রত পাল (মহাদেবপুর সার্কেল), বদলগাছি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আতিয়ার রহমান, পরিদর্শক (তদন্ত) রায়হান হোসেন প্রমুখ।

ওসি মোহাম্মদ আতিয়ার রহমান বলেন, সোমবার সকালে গাবনা সেতুর পাশে কচুরিপানার ভেতরে শাকিব হোসেনের অর্ধগলিত লাশ উদ্ধার করা হয়। মামলা করার পর বদলগাছি ও মহাদেবপুর থানা-পুলিশ যৌথভাবে রহস্য উদ্‌ঘাটন শুরু করে। তথ্যপ্রযুক্তির সহায়তায় অপরাধীদের শনাক্ত করা হয়। গতকাল রাতে তাঁদের গ্রেপ্তার করা হয়।

আতিয়ার রহমান আরও বলেন, আসামিরা শাকিব হোসেনের ভ্যানের চারটি ব্যাটারি কেড়ে নিয়েছিলেন। তাঁরা শাকিবের পরিচিত ছিলেন। এ কারণে তাঁরা শাকিবকে হত্যা করে লাশ গুম করতে কচুরিপানার মধ্যে লুকিয়ে রেখেছিলেন।